পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
পূর্ব মেদিনীপুরে এদিন সকাল থেকেই পুজোর আনন্দে মেতে ওঠে কচিকাঁচারা। নতুন পোশাক পরে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার ভিড় জমে বিভিন্ন মণ্ডপে। ভগবানপুরের গোয়ালাপুকুর ছাতিমতলা মোড়ে ছাত্র ছাত্রীবৃন্দ পরিচালিত সরস্বতী পুজোয় গণ পুষ্পাঞ্জলির ব্যবস্থা করা হয়। এখানে একসঙ্গে ১৮০০ ছাত্রছাত্রী পুষ্পাঞ্জলি দেয়। এছাড়া এখানে ১০ফুট উচ্চতার সরস্বতী প্রতিমা, পাঁচ ফুট লম্বা ধূপ দর্শনার্থীদের নজর কাড়ে। তমলুকের গৌরাঙ্গপুর স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন পরিচালিত পুজোয় এবারের থিম ভিনগ্রহের প্রাণী। এছাড়া প্রতিমার অঙ্গ সজ্জা ও গয়না তৈরি করা হয়েছে বাঁশ দিয়ে। এই থিমের মণ্ডপ ও প্রতিমা দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড় জমে। এছাড়া জেলার সর্বত্র সাড়ম্বরে দেবী সরস্বতীর আরাধনা চলে।
অন্যদিকে, মেদিনীপুর শহরের কলেজ মোড়ে থিমের পুজো দেখতে জনপ্লাবন ঘটে। এছাড়া অরবিন্দ নগর, বড়বাজার, অশোকনগরের পুজোয় থিমের ছোঁয়া দেখা গিয়েছে। এছাড়া খড়গপুর ও ঘাটাল মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় থিমের পুজো দেখতে ভিড় জমে। খড়্গপুরে স্কুলের সরস্বতী পুজোতেও থিমের ছোঁয়া দেখা গিয়েছে। সেই থিমে উঠে এসেছে কন্যাশ্রী প্রকল্পের কথা। খড়্গপুর শহরের ইন্দা কৃষ্ণলাল শিক্ষা নিকেতনে থিমের মাধ্যমে সমৃদ্ধ ভারত গড়তে নারীর ভূমিকার কথা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ভ্রুণহত্যা বন্ধের আবেদনের পাশাপাশি মেয়েদের শিক্ষিত করে তোলার কথা বলা হয়েছে। সেখানে রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী প্রকল্পের কথা তুলে ধরা হয়েছে। তার জন্য কয়েকজন নারী চরিত্রের ছবিও রাখা হয়েছে মণ্ডপে।
এই থিমের পরিকল্পনা করেছেন স্কুলের শিক্ষিকা সুজাতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, নারী শিক্ষার উপর জোর দিতেই এই থিমের চিন্তা। সেখানেই ভ্রুণ হত্যা না করার আবেদন করা হয়েছে। আমরা বলতে চেয়েছি, নারীকে বাঁচিয়ে রেখে তাকে শিক্ষিত করে তুলতে হবে। শহরের আরও কয়েকটি স্কুলেও এবার থিমের পুজো হয়েছে।
অন্যদিকে, ঝাড়গ্রামের একলব্য আদর্শ আবাসিক বিদ্যালয়ে সরস্বতী পুজোর পাশাপাশি আদিবাসীদের জাহের থান, বিবেকানন্দ, রামকৃষ্ণদেব ও মা সারদাকেও পুজো করা হয়। এছাড়া পুজো উপলক্ষে বৈতা সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে মানুষের ঢল নামে।