পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
অভিযোগ, চাঁদার জুলুম, কোনও পুজোতেই বাদ যায় না। দুর্গাপুজো হোক বা জগদ্ধাত্রী বা কালী পুজো, সব পুজোতেই রাস্তায় চার চাকা গাড়ি, অটো, টোটো আটকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় চলে বলে অভিযোগ। সরস্বতী পুজোয় সেই জুলুমবাজি আরও বাড়ে। গলি, রাজপথ সর্বত্র লাঠি হাতে চাঁদা আদায়কারীরা গাড়ি আটকায়। দাবিমতো চাঁদা না দিলে মারধর থেকে গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে আকছার। এমনকী, জাতীয় সড়কের উপরেও গাড়ি দাঁড় করিয়ে চাঁদা আদায় করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টা নাগাদ যাত্রাপুরের রামতনু লাহিড়ি স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা ৪টি অটো, ১২টি টোটোয় কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণির পুতুল পট্টিতে যাচ্ছিল শিক্ষামূলক ভ্রমণে। আনন্দময়ীতলার কাছে পীরতলায় অটো ও টোটোগুলিকে দাঁড় করায় চাঁদা আদায়কারীরা। মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় সামনে থাকা একটি অটোতে ভাঙচুর চালায় চাঁদা আদায়কারীরা। স্থানীয়রা চাঁদা আদায়কারীদের বিরত করেন। এরপর অটোচালক কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।
অটোচালক কার্তিক সরকার বলেন, এদিন সকালে ধুবুলিয়া থেকে আসার সময় চার জায়গায় চাঁদা দিয়েছি। রামতনু লাহিড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের নিয়ে ঘূর্ণিতে যাচ্ছিলাম। সেইসময় পথ আটকায় চাঁদা আদায়কারীরা। অটোতে স্কুল পড়ুয়ারা আছে বলা সত্ত্বেও চাঁদা চায়। আমাদের সঙ্গে চারটি অটো ও ১২টি টোটো ছিল। চাঁদা দেব না বলায় অটো ভাঙচুর করা হয়েছে।
শুধু শহরের কৃষ্ণনগর-হাঁসখালি রাস্তা নয়, অন্যান্য প্রান্তেও জোরপূর্বক চাঁদা আদায় চলছে। গলির রাস্তাতেও গাড়ি, অটো, টোটো দাঁড় করানো হচ্ছে। কৃষ্ণনগর শহর ছাড়াও জেলার অন্যত্র চলছে চাঁদার জুলুমবাজি। রানাঘাট, শান্তিপুর, তেহট্ট, করিমপুর, নাকাশিপাড়া, কালীগঞ্জ, নবদ্বীপ সর্বত্র জুলুম চলছে। জেলার বাসিন্দারা বলেন, প্রতি বছর সরস্বতী পুজোর সময় চাঁদার জুলুমবাজি বাড়ে। পুলিস চাঁদা আদায়কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না। ফলে আদায়কারীদের দাদাগিরি বাড়ে। দাবিমতো চাঁদা না দিলে গাড়ি ভাঙচুর বা মারধরের ঘটনা ঘটে। এক লরি মালিক বলেন, সরস্বতী পুজোর সময় লরি বের করা যায় না। যে কোনও রাস্তা ধরে লরি গেলেই দু’মিনিট অন্তর চাঁদা আদায়কারীরা পথ আটকায়। ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা চাঁদা দাবি করে। ২০০ টাকার নীচে চাঁদা নিতে চায় না। দাবিমতো চাঁদা না দিলে লরি আটকে রাখে পথে। চাঁদার এই জুলুমবাজি পুলিসকে বলা হয়। কিন্তু কোনও সুরাহা মেলে না।
জেলার পুলিস সুপার রূপেশ কুমার বলেন, এদিনের ঘটনার লিখিত অভিযোগ হয়ে থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জোরপূর্বক চাঁদা আদায়ের বিরুদ্ধে জেলাজুড়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।