শাস্ত্র অধ্যয়নে গতি বৃদ্ধি ও পরীক্ষায় শুভ ফল লাভের সম্ভাবনা। নতুন কর্মপ্রাপ্তি হতে পারে। দাম্পত্যে ... বিশদ
১৬ নম্বর ওয়ার্ডের খেলাঘর মোড় সংলগ্ন এলাকায় ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি। ভুয়ো এনআরআই শংসাপত্র নিয়ে রাজ্যজুড়ে অভিযান চলছে। বিশেষ সূত্রে খবর, এরই অঙ্গ হিসেবে শিলিগুড়িতে তদন্তে আসে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। দীর্ঘদিন প্রবাসী ভারতীয়দের সন্তান-সন্ততির জন্য মেডিক্যাল কলেজে আসন সংরক্ষিত থাকে। সম্প্রতি অভিযোগ ওঠে, বাংলার পাশাপাশি দেশের একাধিক মেডিক্যাল কলেজে বেশকিছু ছাত্রছাত্রী নন-রেসিডেন্ট ইন্ডিয়ান কোটার সুযোগ নিতে ভুয়ো শংসাপত্র জমা দিয়ে ভর্তি হয়েছে।
সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই একের পর এক অভিযান চালানো হচ্ছে। এদিন শিলিগুড়ির অভিযানও এরই একটি অঙ্গ বলে জানা গিয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, ওই জালিয়াতিতে একটি বড় চক্র জড়িত, যারা মোটা টাকার বিনিময়ে ভুয়ো শংসাপত্র তৈরি করেছে। তাই নির্দিষ্ট কিছু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও টাকা লেনদেনের হিসেব খতিয়ে দেখছে ইডি। বড় দুর্নীতির গন্ধ পেয়েই এদিন ইডি’র টিম আসে।
জানা গিয়েছে, শহরে ওষুধের দোকান ও লজ রয়েছে ওই ব্যবসায়ীর। এছাড়া একাধিক অন্য ব্যবসাও আছে। তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে মেডিক্যাল কলেজে পড়াশোনা করেন বলে ব্যবসায়ীর প্রতিবেশীদের সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রতিবেশীদের দাবি, উনি অত্যন্ত বিনয়ী। পাড়ার সকলের সঙ্গে সদ্ভাব রয়েছে। এমন একজন ব্যক্তি কখনও কোনও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়তে পারেন বলে তাঁরা মনে করছেন না। স্বভাবতই সেক্ষেত্রে কেন এমন তল্লাশি অভিযান, সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সকলের মনে। প্রতিবেশীদের একাংশের দাবি, ছেলে-মেয়েদের ভর্তির সময়ে কোনও প্রতারকের পাল্লায় তিনি পড়ে থাকতে পারেন। সেই থেকেই এমন অভিযান হতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা।
এদিন সকাল ১০টা নাগাদ তিনটি গাড়িতে এক মহিলা অফিসার সহ চারজন ব্যবসায়ীর বাড়িতে আসেন। বাড়ির বাইরে, ভিতরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের রেখে টানা জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হয় বাড়ির মালিককে। এদিনই আলিপুরদুয়ারে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন তিনি। তবে তার আগেই ইডি’র অফিসাররা তাঁর বাড়িতে আসেন। কাউকে বাড়ির ভিতরে যেমন ঢুকতে দেওয়া হয়নি, তেমনই বাইরে যেতে দেওয়াও হয়নি। বিকেল ৪টে নাগাদ ইডি অফিসাররা বাড়ি থেকে দু’টি ব্যাগ ভর্তি নথি নিয়ে বেরিয়ে যান। যদিও সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁরা কোনও কথা বলেননি। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি ওই ব্যবসার্য়ীও।
ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সুজয় ঘটক বলেন, আমি খবর পেয়ে ওই এলাকায় যাই। পুলিসকেও খবর দিই। কোনও অশান্তির পরিবেশ যাতে সৃষ্টি না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিসকে আবেদন জানাই।