শাস্ত্র অধ্যয়নে গতি বৃদ্ধি ও পরীক্ষায় শুভ ফল লাভের সম্ভাবনা। নতুন কর্মপ্রাপ্তি হতে পারে। দাম্পত্যে ... বিশদ
হাসপাতালের কর্মীদের জন্য প্রায় ২০টি কোয়ার্টার রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বিপজ্জনক হয় পড়েছে। দেওয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ছে। লিনটন, পিলার থেকে সিমেন্টের চাঙড় খসে পড়ছে। জায়গায় জায়গায় ফাটল ধরেছে। এই বিপজ্জনক কোয়ার্টারের চারপাশ জঙ্গলে ভরে আছে। নর্দমাও নিয়মিত সাফাই করা হয় না বলে অভিযোগ। সব মিলিয়ে এক চূড়ান্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ঝুঁকির মধ্যে পরিবার নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন কর্মীদের একাংশ। যেকোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। রাতে ঘুমের মধ্যে সব ভেঙে পড়লে চাপা পড়ে মারা যেতে হবে যেনেও চাকরির ভয়ে প্রকাশ্যে কোনও কর্মী মুখ খুলতে চাইছেন না।
কবে শেষ সংস্কার হয়েছে, রঙের প্রলেপ পড়েছে তা মনে করতে পারছেন না আবাসিকরা। এরকম বিপজ্জনক কোয়ার্টারে দীর্ঘদিন ধরে কর্মীরা থাকলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সেদিকে কোনও নজর নেই। যেকোনও দিন বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটলে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে জেনেও কর্তৃপক্ষের নীরবতায় বিস্মিত সকলে। ক্ষোভের সঙ্গে এক কর্মী বলেন, নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরায় মুড়ে দেওয়া হয়েছে গোটা হাসপাতাল। ডাক্তার-নার্সদের নিরাপত্তার জন্য ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নতুন করে সব রেস্টরুম তৈরি হয়েছে। আমরা সাধারণ কর্মী। তাই আমাদের নিরাপত্তার ব্যাপারে চূড়ান্ত উদাসীন কর্তৃপক্ষ। ডাক্তারদের কোনও সমস্যা হলে তা দ্রুত সমাধান হয়ে যায়। আমরা ডাক্তার নই। সে কারণে দীর্ঘদিন ধরে পরিবার নিয়ে এই বিপজ্জনক আবাসনে আছি। অনেকবার বলেছি। তবুও কর্তৃপক্ষ আশ্চর্যজনকভাবে নীরব।
বিপজ্জনক কোয়ার্টারে কর্মীদের থাকার বিষয়টি হাসপাতাল সুপার জানেন। এক্ষেত্রে তাঁর কোনও গাফিলতি রয়েছে বলে মনে করেন না। সুপার ডাঃ সঞ্জয় মল্লিক বলেন, দু’বছর ধরে একটার পর একটা কোয়ার্টার সংস্কারের জন্য আমরা ই-ফাইল করে স্বাস্থ্যদপ্তরে পাঠিয়েছি। কিন্তু কোনওটির অনুমোদন আসেনি। স্থানীয়ভাবে যেটুকু সংস্কার করা সম্ভব পূর্তদপ্তর তা করে দিয়ে থাকে। কিন্তু এক্ষেত্রে খরচ অনেক। তাই স্বাস্থ্যদপ্তরের অনুমোদন ও বরাদ্দ ছাড়া সব কোয়ার্টার সংস্কার সম্ভব নয়। অনেক কোয়ার্টার বিপজ্জনক হয়ে আছে জেনেও কিছু করা যাচ্ছে না। নিজস্ব চিত্র।