শাস্ত্র অধ্যয়নে গতি বৃদ্ধি ও পরীক্ষায় শুভ ফল লাভের সম্ভাবনা। নতুন কর্মপ্রাপ্তি হতে পারে। দাম্পত্যে ... বিশদ
মেলার উদ্যোক্তা শিলিগুড়ি হর্টিকালচারাল সোসাইটির তরফে মঙ্গলবার মেলার শেষ দিনে যে হিসেব হাতে এসেছে তাতে পাঁচ কোটি টাকারও বেশি বিক্রি হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের ফুলের গাছ, অর্কিড সহ ইন্ডোর প্ল্যান্ট প্রচুর বিক্রি হয়েছে। শিলিগুড়ি হর্টিকালচারাল সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক প্রশান্তকুমার সেন বলেন, গতবছর তিন কোটি টাকার কিছু বেশি বিক্রি হয়েছিল। এবার শেষ দিনে পুরো হিসেব এখনও হাতে আসেনি। যেটুকু হাতে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে এবার পাঁচ কোটি টাকারও বেশি ব্যবসা হয়েছে। যা রেকর্ড।
গাছ ও গাছের চারা কেনার প্রতি এই আগ্রহ প্রকাশ করে সাধারণ মানুষ শিলিগুড়িতে স্থায়ী ফুল বাজারের দাবিকে জোরালো করেছেন বলে মনে করেন প্রশান্তবাবু। তিনি বলেন, শহরের সৌন্দর্যায়নে স্থায়ী ফুলবাজার একটি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের আশা, এবারের ফুল মেলায় সাধারণ মানুষের এই বিপুল সাড়া থেকে স্থানীয় প্রশাসন শিলিগুড়ি শহরে স্থায়ী ফুলবাজার তৈরিতে উদ্যোগী হবে।
এই মেলা থেকে ফুলচাষিরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হয়েছেন বলে দাবি করেছে আয়োজকরা। প্রশান্তবাবু বলেন, এই মেলা থেকে কৃষকদের সঙ্গে বহু মানুষ, ব্যবসায়ী সরাসরি যোগাযোগ করেছেন, তাঁদের ঠিকানা নিয়েছেন। সারা বছর তাঁরা সেখান থেকে তাঁদের চাহিদা মতো বিভিন্ন ধরনের ফুলের গাছ, অর্কিড সহ অন্যান্য গাছপালা সরাসরি কিনবেন বলে জানিয়েছেন। এই যোগাযোগ তৈরির জন্য ফুলচাষিরা আমাদের এই মেলার দিকে সারা বছর তাকিয়ে থাকেন। সে কথা মাথায় রেখে এবার আমরা স্টলের সংখ্যা বাড়িয়েছি। পাহাড় এবং গ্রামাঞ্চলের ফুলচাষিদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এবারে ১০১টি স্টল ছিল। গতবছর স্টলের সংখ্যা ছিল ৮৭টি। বড় বড় নার্সারির জায়গা কমিয়ে সেখানে ছোট গ্রামীণ ও পাহাড়ের ফুলচাষিদের স্টল দেওয়া হয়। এবারে ১০১টি স্টলের মধ্যে ৪৫টি স্টল ছিল পাহাড়ের ফুল চাষিদের। নিজস্ব চিত্র।