কর্ম নিয়ে স্থানান্তর গমনে সাফল্যের যোগ। কর্মে স্থানগত বা সংস্থাগত পরিবর্তন অসম্ভব নয়। পারিবারিক ক্ষেত্রে ... বিশদ
খুন হয়ে যাওয়া তৃণমূল নেতা দুলালের বাড়ির কাছেই থাকেন ইংলিশবাজার পুরসভার আরেক কাউন্সিলার বয়সে নবীন গৌতম দাস। ২০২২ সালে পুরসভায় কাউন্সিলার নির্বাচিত হওয়ার আগে থেকেই বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকেন তিনি। গৌতম বলেন, কাউন্সিলার হলেন একেবারে তৃণমূল স্তরের জনপ্রতিনিধি। পাড়ার যে কোনও অনুষ্ঠানে, মানুষের প্রয়োজনে রাতবিরেতে ছুটতে হয় আমাদের। কখনও একাই বাইক চালিয়ে পৌঁছে যাই মানুষের ডাকে। কিন্তু কার মনে কী আছে, বলা মুশকিল। বাবলাদাকে খুনের ঘটনা নিশ্চিতভাবে আতঙ্কিত করেছে আমাদের সকলকে। পুলিসের পক্ষ থেকে দেহরক্ষী পেলে অন্তত কিছুটা আশ্বস্ত হওয়া যায়। তাই বিষয়টি নিয়ে আবেদনের কথা ভাবছি।
ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ গায়ত্রী ঘোষের কথায়, বাড়িতে প্রায় একাই থাকি। আমার স্বামী নীহাররঞ্জন ঘোষ বিধায়ক হিসাবে মানুষের কাজে চাঁচল ও কলকাতায় থাকেন। ছেলে আইনজীবী হিসাবে কলকাতা হাইকোর্টে প্র্যাকটিস করে। বাড়ি থেকে পুরসভা একাই যাতায়াত করি। আগেও আমাদের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। তেমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলে মহিলা হিসাবে অসহায় বোধ করব। আমারও আবেদন থাকবে প্রশাসন আমাদের সুরক্ষার দিকটি বিবেচনা করুক। বাবলাদার নৃশংস খুনের পরে এই দিকটি অবহেলা করা বোধহয় ঠিক হবে না।
ইংলিশবাজার পুরসভার আরেক তরুণ কাউন্সিলর উদয় চৌধুরী ওরফে গোবিন্দ বলেন, বাবলাদার সঙ্গে যা ঘটেছে মারাত্মক। কাউন্সিলার হিসেবে পাড়াতে অনেক ছোটখাটো বিষয়ের নিষ্পত্তি করতে হয়। তার জেরে কেউ ক্ষুণ্ণ হয়ে ঝোঁকের মাথায় হামলা করলে বিপদের সম্ভাবনা থেকেই যায়। নিরাপত্তার আবেদন জানানোর কথা ভাবছি। সেটা সম্ভব না হলে আইন মেনে লাইসেন্স সহ আগ্নেয়াস্ত্র নেওয়া যায় কিনা বিবেচনা করছি।
প্রায় একই সুর শোনা গিয়েছে ইংলিশবাজার পুরসভার আরেক চেয়ারম্যান পারিষদ অশোক সাহা ওরফে মনুর গলাতেও।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে আসছি। সব সময় মানুষের পাশে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করি। তবে সবাইকে তো সব সময় সন্তুষ্ট করা যায় না। তাই কেউ ব্যক্তিগত ভাবে রুষ্ট হয়ে হামলা চালালে বড় বিপদ হবে। নিরাপত্তারক্ষীর জন্য আবেদন করার কথা ভাবছি। তাতে হয়তো কিছুটা স্বস্তি থাকবে। এদিকে ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী বলেন, বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁকে অনুরোধ করেছি কাউন্সিলারদের নিরাপত্তা পর্যালোচনা করার যেন ব্যবস্থা করা হয়। তিনি বিষয়টি ভেবে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।