কর্ম নিয়ে স্থানান্তর গমনে সাফল্যের যোগ। কর্মে স্থানগত বা সংস্থাগত পরিবর্তন অসম্ভব নয়। পারিবারিক ক্ষেত্রে ... বিশদ
বিক্ষোভরত অঙ্কিতা ঘোষ নামের এক সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী বলে, স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে অভিভাবকদের না জানিয়ে এই টাওয়ার বসানো হয়েছে। আমাদের খেলার মাঠ নষ্ট হচ্ছে। আমাদের স্বাস্থ্যের অবনতি হতে পারে। দ্রুত এই মোবাইল টাওয়ার স্কুল চত্বর থেকে সরাতে হবে। মিষ্টু ঘোষ নামের ষষ্ঠ শ্রেণির আরএক ছাত্রী বলে, পুজোর ছুটিতে কাউকে না জানিয়ে স্কুলে মোবাইল টাওয়ার বসানো হয়েছে। স্কুলে আমরা খেলাধুলা করি। সেখানে মোবাইল টাওয়ার বসালে আমাদের শরীরে রোগ-ব্যাধি দেখা দিতে পারে।
এরাগেও এই প্রসঙ্গকে বিধানসভায় তুলেছেন স্থানীয় বিধায়ক আনন্দময় বর্মন। তিনি বিধানসভায় বলেছেন, নকশালবাড়ি ব্লকের গোঁসাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রানিডাঙা কালারাম হাইস্কুলে মোবাইল টাওয়ার বসানো হয়েছে। সেখানে টাওয়ার বসলে সেই রেডিয়েশনে ক্যান্সার, মাথাব্যাথা, অনিদ্রা থেকে স্নায়ুতন্ত্রে বিঘ্ন ঘটার মত বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে।
যদিও এর জবাবে স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আনন্দ ঘোষ আগেই জানিয়েছেন, এই টাওয়ার বসানোর জন্য তাদের কাছে সমস্ত অনুমোদন আছে। স্কুলের সার্বিক উন্নতির লক্ষ্যে এই টাওয়ার বসানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আইন অনুযায়ী টাওয়ার বসানোর জন্য খোদ জেলাশাসকের অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। সেই লাইসেন্সের প্যারা নম্বর সি-তে স্পষ্ট লেখা রয়েছে- স্কুল, কলেজ সহ বিভিন্ন জায়গায় মোবাইল টাওয়ার বসানো যাবে। তবে শুক্রবার আনন্দবাবুকে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। অপরদিকে, ঘটনাটি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি অরুণ ঘোষ।