কর্ম নিয়ে স্থানান্তর গমনে সাফল্যের যোগ। কর্মে স্থানগত বা সংস্থাগত পরিবর্তন অসম্ভব নয়। পারিবারিক ক্ষেত্রে ... বিশদ
এনবিএসটিসি’র চেয়ারম্যানের পদ থেকে পার্থসারথি রায়ের ইস্তফার দাবিতে শহরের রাজপথে বিক্ষোভ দেখায় নর্থ বেঙ্গল স্টেট ট্রান্সপোর্ট ড্রাইভার্স অ্যান্ড তৃণমূল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের একাংশ। তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা এনবিএসটিসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগে চেয়ে শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের একাংশের ওই বিক্ষোভ ঘিরে নতুন করে জেলায় শাসক দলের কোন্দল ফের প্রকাশ্যে এল বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। প্রসঙ্গত, বেশকিছু দিন ধরেই দীর্ঘদিনের বিরোধ মিটিয়ে কোচবিহারের প্রাক্তন দুই জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও পার্থপ্রতিম রায় কাছাকাছি এসেছেন। ওই দুই তৃণমূল নেতা একসঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় কর্মসূচিতেও যাচ্ছেন। কয়েক দিন আগে রবীন্দ্র ভবনে দলের জেলা সভাতেও একসঙ্গে গরহাজির ছিলেন রবি-পার্থ। তারপর থেকেই জেলা সভাপতি সহ জেলার অন্যান্য প্রথম সারির নেতাদের সঙ্গে ওই দুই নেতার দূরত্ব প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। শুক্রবার সন্ধ্যায় সংগঠনের স্থায়ী কর্মচারী ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক সমীর সরকার কোতোয়ালি থানায় তাঁকে মারধরের লিখিত অভিযোগ করেন সংগঠনের অস্থায়ী কর্মচারী ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক দীপেশ দাসের বিরুদ্ধে। সমীরবাবু বলেন, আমরা কয়েকজন চেয়ারম্যানের কাছে কয়েকটি বিষয় নিয়ে স্বারকলিপি দিতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে বের হয়ে সংস্থার এমডি’র সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় পথ আটকে মারধর করা হয়। এই ঘটনার পিছনে দীপেশ দাসের উস্কানি ছিল। তাই তাঁর বিরুদ্ধে আমি থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। বিষয়টি সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বান্দ্যোপাধ্যায়কেও জানাব। দীপেশ দাস বলেন, কোচবিহার জেলায় আমাদের শ্রমিক সংগঠন ভালোমতোই চলছে। তবে সংস্থার চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় কিছু লোককে ডেকে নিয়ে এসে গোপন বৈঠক করে দলের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল করার চেষ্টা করছেন। তাই আমরা এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে অবশেষে রাস্তায় নেমেছি। আমরা কোনওমতেই চাই না দলের মধ্যে কোন্দল হোক। মারধরের অভিযোগ ভিত্তিহীন। যদিও এ বিষয়ে এনবিএসটিসি’র চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় কোনও মন্তব্য কারতে রাজি হননি।