ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাধায় চিন্তা ও উদ্বেগ। বেকারদের ভালো প্রতিষ্ঠানে কর্মপ্রাপ্তির প্রবল যোগ। ... বিশদ
এদিন দুপুর ৩টে নাগাদ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে দেখা যায়,এক যুবককে কয়েকজন ধরে ধরে নিয়ে আসছেন। ওই যুবক যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। তাঁকে ধরে রাখা যাচ্ছে না। অনেক কষ্টে তাঁকে টোটোতে তুলে বেরিয়ে যান পরিবারের লোকেরা।
মাটিগাড়ার যুবক সন্তোষ ওরাওঁ বাইক দুর্ঘটনায় মাথায় গুরুতর চোট পান। বুধবার দুপুরে পরিবারের লোকেরা সন্তোষকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। প্রতাপ ওরাওঁ বলেন, সঙ্গে সঙ্গে আমার ভাগ্নেকে ভর্তি করে হাসপাতাল থেকেই সিটিস্ক্যান করা হয়। রিপোর্টে দেখা যায় সন্তোষের মাথায় রক্ত জমাট রয়েছে। কিন্তু বুধবার দুপুর আড়াইটেয় ভর্তি করার পর থেকে এদিন দুপুর পর্যন্ত ভাগ্নেকে একজন চিকিৎসকও দেখেননি। ছেলেটি মাথা ব্যথায় ছটফট করছে। থাকতে পারছে না। সাধ্য না থাকলেও ভাগ্নেকে বাঁচাতে হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়ে নার্সিংহোমে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছি। আমরা গরিব। জানি না শেষ পর্যন্ত কতটা চিকিৎসা করাতে পারব।
মাথায় চোট পাওয়ার পাশাপাশি সন্তোষের হাত ও পায়ের বেশকিছু জায়গাও কেটে গিয়েছে। ২৪ ঘণ্টা ভর্তি থাকলেও এদিন সন্তোষের সেই ক্ষতস্থানে হাসপাতাল থেকে কোনও ব্যান্ডেজ বা ওষুধ লাগানোর চিহ্ন পাওয়া যায়নি। আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে গত দু’মাস ধরে রোগী ফিরিয়ে দেওয়া ও হয়রানির অভিযোগের সঙ্গে চিকিৎসায় অবহেলারও অসংখ্য অভিযোগ উঠেছে। সন্তোমষের ঘটনায় সেই অভিযোগ আরও জোরালো হল।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে প্রতিদিনই সিনিয়র ডাক্তারদের ভিড় দেখা যাচ্ছে। তাহলে ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা রোগী না দেখার কারণ কি এটাই, বলেন সন্তোষের মামা প্রতাপ ওরাওঁ।
অভিযোগ, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের পাশাপাশি পুজোর ছুটির রেশ এখনও রয়েছে। বহু সিনিয়র ডাক্তার পুজোয় বাড়িতে গিয়ে এখনও কাজে ফেরেননি। সেই কারণেই সন্তোষ ওরাওঁকে বুধবার দুপুরে ভর্তি করার পরও সিনিয়র তথা স্পেশালিস্ট চিকিৎসকের দেখা মেলেনি। এনিয়ে ক্ষোভের সঙ্গে প্রতাপ ওরাওঁ বলেন, ডাক্তারদের আন্দোলন, পুজোর ছুটি চলুক। কিন্তু আমরা গরিব মানুষ চিকিৎসার জন্য কোথায় যাব? গরিবের চিকিৎসা নিশ্চিত করার দায়িত্ব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে। এ ব্যাপারে হাসপাতাল সুপার ডাঃ সঞ্জয় মল্লিক বলেন, কোনও রোগীর পরিবারের তরফে আমার কাছে এ ধরনের অভিযোগ আসেনি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।