ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাধায় চিন্তা ও উদ্বেগ। বেকারদের ভালো প্রতিষ্ঠানে কর্মপ্রাপ্তির প্রবল যোগ। ... বিশদ
শৈলশহর ম্যাল রোডের কাছে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী ভবনটির সংস্কারের দাবি ছিল বহুদিনের। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এটি কার্যত ভূতুড়ে বাড়িতে পরিণত হয়েছিল। বিবর্ণ দেওয়ালে গজিয়ে উঠেছিল আগাছা। অবহেলায় দেওয়াল ও ছাদের পলেস্তরাও খসে পড়ছিল। দরজা, জানালার অবস্থাও ছিল শোচনীয়। সবমিলিয়ে বিপজ্জনক হয়ে পড়ে বাড়িটি। এর জেরে প্রায় দু’বছর ধরে সেটি বন্ধ ছিল। বিভিন্ন মহলের দাবি মেনে অবশেষে সংস্কারে উদ্যোগী হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ইতিমধ্যেই প্রাচীন কাঠামো বজায় রেখে ভবনটির আমূল সংস্কার করেছে তারা।
পাহাড়ের পর্যটন মানচিত্রে স্বাধীনতা সংগ্রামী চিত্তরঞ্জন দাশের স্মৃতি বিজড়িত এই ভবনটি নিঃসন্দেহে অন্যতম। প্রশাসন সূত্রে খবর, বছর খানেক আগে ভবনটির সংস্কারের প্রস্তাব রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়। প্রস্তাব অনুমোদন করে রাজ্য এই প্রকল্পের জন্য ২৯ লক্ষ ৩ হাজার টাকা বরাদ্দ করে। এরপরই প্রস্তাবিত প্রকল্প রূপায়ণের কাজে হাত দেওয়া হয়। দোতলা ভবনটিকে সংস্কার করে পুজোর আগেই চালুর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গত সেপ্টেম্বরে বৃষ্টির সময় গাছ পড়ে ফের ক্ষতিগ্রস্ত হয় ভবনের একাংশ। সেই অংশের মেরামতি কাজও প্রায় শেষ। কিছুদিনের মধ্যেই উন্নয়ন ও পরিকল্পনা দপ্তর ভবনটিকে হস্তান্তর করবে মহকুমা প্রশাসনের কাছে। সবকিছু ঠিকঠাক চললে আগামী মাসের মধ্যেই সেটি ফের খুলে দেওয়া হবে পর্যটকদের জন্য।
দোতলা ওই ভবনের ঘরগুলির সংস্কার করে তাতে রঙের প্রলেপ দেওয়া হয়েছে। ঘর ও বারান্দায় ব্যবস্থা করা হয়েছে পর্যাপ্ত আলোর। বাগানে বসেছে বাতিস্তম্ভ। প্রশাসনের আধিকারিকরা বলেন, ভবনটিতে রয়েছে চিত্তরঞ্জন দাশের বেশকিছু ছবি। তিনি যে ঘরটিতে থাকতেন তার বিছানা, চেয়ার, টেবিল সবকিছুই সংরক্ষিত করা হয়েছে। তাঁর ব্যবহৃত বেশকিছু সামগ্রী ও পোশাকও সংরক্ষিত রয়েছে। নবরূপে সাজিয়ে তোলা হয়েছে মিউজিয়ামটিও। আবার চালু হলেই পর্যটকদের ভিড়ে সমগ্র এলাকাটি আগের মতো জমজমাট হয়ে উঠবে।