ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাধায় চিন্তা ও উদ্বেগ। বেকারদের ভালো প্রতিষ্ঠানে কর্মপ্রাপ্তির প্রবল যোগ। ... বিশদ
পুজোর সময় চা ফ্যাক্টরি বন্ধ ছিল। গত সোমবার খোলে। সেদিন কাঁচা পাতার দাম ছিল প্রতি কেজি ২৬-৩০ টাকা। মঙ্গলবার আচমকা দাম কমে হয় ২২-২৬ টাকা। বুধবার সেই দাম আরও নামে। কেজি প্রতি কাঁচা পাতা বিক্রি হয় ১১-১৬ টাকায়। বৃহস্পতিবার পাতা ওঠেনি। দাম পড়তে থাকায় গোটা উত্তরবঙ্গের ক্ষুদ্র চা চাষিরা ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন।
উত্তর দিনাজপুরের ক্ষুদ্র চা চাষি সংগঠনের সম্পাদক দেবাশিস পাল বলেন, এমনিতেই পাতার উৎপাদন কম। তার উপর যদি ফ্যাক্টরি মালিকরা স্বেচ্ছাচারি মনোভাব দেখান তাহলে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব আমরা। কোচবিহার জেলা ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতির সম্পাদক রাব্বু খান বলেন, একে তো দাম তলানিতে। তার উপর শুকনো পাতায় ২০ শতাংশ পর্যন্ত জল কাটা হচ্ছে। এটা ক্ষুদ্র চা চাষিদের পেটে লাথি মারা ছাড়া কিছুই নয়।
জলপাইগুড়ি জেলা ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, ক্ষুদ্র চা চাষিদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে বটলিফ ও ছোট চা চাষিদের নিয়ে যৌথ কমিটি করা হয়েছিল। কিন্তু বটলিফগুলি যেভাবে মর্জিমাফিক পাতার দাম দিচ্ছে, তাতে যৌথ কমিটির অস্তিত্ব নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। অবিলম্বে যদি পাতার দাম না বাড়ে, তাহলে উত্তরবঙ্গজুড়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন ক্ষুদ্র চা চাষিরা। প্রয়োজনে রাস্তায় চা পাতা ফেলে বিক্ষোভ হবে।
বটলিফ মালিকদের সংগঠন নর্থবেঙ্গল টি প্রোডিউসার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সঞ্জয় ধানুটি বলেন, আমরা কখনও চাই না কাঁচা পাতার দাম কমুক। এর আগে আমরা ৩৬ টাকা কেজি দরেও পাতা কিনেছি। কিন্তু অত বেশি দাম দিয়ে পাতা কিনে চা তৈরির পর ফেলে রাখতে হয়েছে। বিক্রি নেই। তাঁর দাবি, বৃহস্পতিবার চায়ের ৪২ তম অকশন হয়েছে। অথচ ৪৭ তম অকশনের জন্যও চা মজুত হয়ে গিয়েছে। সপ্তাহে একদিন অকশন হয়। ফলে এখনই যে চা মজুত রয়েছে, তা অকশন হতে দেড় মাস সময় লেগে যাবে। এই অবস্থায় কীভাবে পাতার বেশি দাম দেব আমরা? তাছাড়া অসমেও চা পাতার দাম পড়ে গিয়েছে।