ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাধায় চিন্তা ও উদ্বেগ। বেকারদের ভালো প্রতিষ্ঠানে কর্মপ্রাপ্তির প্রবল যোগ। ... বিশদ
সুপার বলেন, একদিনের ছুটিতে বাইরে গিয়েছিলাম। ঘটনাটি শুনেই রাতের হাসপাতালে ফিরেছি। গোটা ঘটনা তদন্ত করে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। শিলিগুড়ির ডেপুটি পুলিস কমিশনার (পূর্ব) রাকেশ সিং বলেন, হাসপাতাল থেকে সদ্যোজাতের মৃতদেহ নিখোঁজের ঘটনা নিয়ে অভিযোগ করেছে পরিবারের লোকরা। ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বুধবার প্রসবযন্ত্রণা নিয়ে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি হন এক গৃহবধূ। হাসপাতাল সূত্রেই খবর, রাতে মৃত পুত্রসন্তানের জন্ম দেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে সদ্যোজাতের দেহ হস্তান্তরের কথা থাকলেও তা করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। দুপুর নাগাদ তারা সেই দেহ নিখোঁজ বলে বধূর পরিবারের সদস্যদের জানায়। এই খবর চাউর হতেই হাসপাতালে জড়ো হন ওই বধূর প্রতিবেশী ও আত্মীয়রা। তাঁদের একাংশ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। খবর পেয়ে বিশাল পুলিস বাহিনী আসে হাসপাতালে। দুপুর ৩টে নাগাদ ওই বধূকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়। পুলিস অফিসাররা জানান, গোলমালের আশঙ্কা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খবর দিয়েছে। তাই এখানে পুলিস কর্মীরা এসেছে। কোনও গোলমাল হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের গোয়ালাপট্টিতে ওই বধূর শ্বশুরবাড়ি। তাঁর স্বামী মহম্মদ কায়েশ পেশায় গাড়ি চালক। তাঁদের আত্মীয় মহম্মদ এহেসান বলেন, হাসপাতাল থেকে দেহ নিখোঁজ হয়ে যাবে, তা মানতে পারছি না। এর থেকেই স্পষ্ট এখানে নিরাপত্তার কোনও বালাই নেই। এ ব্যাপারে পুলিস ও স্বাস্থ্যদপ্তরের কাছে অভিযোগ জানাব।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় হাসপাতালে হুলস্থুল পড়ে যায়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, মৃতদেহটি হলুদ প্লাস্টিকে মুড়ে নির্দিষ্ট স্থানে রাখা হয়েছিল। কুকুর কিংবা বেড়াল সেই প্যাকেট নিয়ে গিয়েছে বলে রটে যায়। হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার ডাঃ অমিত দত্ত অবশ্য দুপুরে বলেন, কুকুর কিংবা বেড়াল নেয়নি। দেহটি নিখোঁজ। এনিয়ে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হবে। তবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক থাকলেও কিছুটা খামতি রয়েছে। এদিন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সিসি ক্যামেরার নেটওয়ার্ক অকেজো ছিল। নিজস্ব চিত্র।