ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাধায় চিন্তা ও উদ্বেগ। বেকারদের ভালো প্রতিষ্ঠানে কর্মপ্রাপ্তির প্রবল যোগ। ... বিশদ
বাঁধ থেকে নদীর দূরত্ব মেরেকেটে মাত্র কুড়ি মিটার। এভাবে দিনদিন ভাঙন চলতে থাকলে ভূতনির মতো অবস্থা হবে না তো মথুরাপুরের? চিন্তায় এলাকার বহু মানুষ। ভাঙন রোধে প্রশাসনকে এখনই কাজ শুরুর আর্জি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও জেলা সেচদপ্তর নদীপাড়ের বাসিন্দাদের আতঙ্কিত না হওয়ার বার্তা দিয়েছেন। জেলা সেচদপ্তরের এক আধিকারিকের দাবি, নদীর জল কমলে এই ধরনের ভাঙন হয়। এতে ভয়ের কিছু নেই। আমরা সবসময় পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। মানিকচক ব্লকের মথুরাপুর শঙ্করটোলার উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে ফুলহার নদী। কিছুদিন আগে ফুলহারের জল বাড়ায় জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল নদী তীরবর্তী এলাকা। এখন ফুলহারের জল কমতে শুরু করেছে। আর এতেই ভাঙন বাড়তে শুরু করছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মথুরাপুরের পাঠানপাড়া এলাকার বাঁধের সামনে গত কয়েকদিন ধরে ব্যাপক ভাঙন হচ্ছে। নদীতে তলিয়ে গিয়েছে জমির বিস্তীর্ণ অংশ। এমনকী নদী তীরবর্তী এলাকায় থাকা বেশকিছু গাছপালা নদীর গর্ভে। নদী তীরবর্তী এলাকায় থাকা অন্য গাছ নদীর গর্ভে তলিয়ে যাওয়ার আগে কেটে ফেলছেন স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, প্রতিবছর নদীর জল কমলে এই ধরনের ভাঙন হয়। তবে এবছরের চিত্র আলাদা। পাঠানপাড়ার বাসিন্দা গোলাম শেখ মোস্তফা বলেন, অতিরিক্ত ভাঙন হচ্ছে। এই ধরনের ভাঙন এখানে সাধারণত হয় না। জলের ধাক্কায় ভেঙে পড়ছে নদীর পাড়। বাঁধ থেকে নদীর দূরত্ব মাত্র কুড়ি মিটার। গোলামের মতো অনেকের আশঙ্কা, যে হারে ভাঙন হচ্ছে, তা রোধ না করলে পরিস্থিতি আরও বেগতিক হয়ে উঠতে পারে।
ফুলহারের এই ভাঙনের ফলে রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছেন মথুরাপুরের বাসিন্দারা। নদীর পাশেই মথুরাপুর অঞ্চলের প্রায় কুড়ি থেকে পঁচিশটি গ্রামের বসবাস। স্থানীয় বাসিন্দা বাবুল হক বলেন, ভূতনি ভাঙন কবলিত এলাকা। সেখানকার মানুষ এজন্য প্রস্তুত থাকেন। কিন্তু মথুরাপুরে এই ধরনের ভাঙন সাধারণত হয় না। হঠাৎ ভাঙনের তীব্রতা বাড়লে মানুষ কোথায় যাবে, কী করবে? ভাঙন রোধে প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ করুক। বলছেন বাবলু, গোলামরা। নদী পাড়ের বাসিন্দা বাবলুর কথায়, প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ভূতনির চেয়েও বিপজ্জনক পরিস্থিতি হবে মথুরাপুরের। জেলা সেচদপ্তরের ওই আধিকারিক বলেন, মথুরাপুরের ভাঙনের বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিজস্ব চিত্র।