ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাধায় চিন্তা ও উদ্বেগ। বেকারদের ভালো প্রতিষ্ঠানে কর্মপ্রাপ্তির প্রবল যোগ। ... বিশদ
এবার ৩১ বছরে পদার্পণ করল রায়গঞ্জ শহর লাগোয়া বারোদুয়ারির এই লক্ষ্মীমেলা। উদ্যোক্তাদের আশা, শতাধিক প্রতিমা এবার মেলায় অংশ নেবে। উদ্যোক্তাদের কথায়, লক্ষ্মীমেলা শুধু একটি মেলা নয়, সর্বধর্মের মানুষের একটি মিলনক্ষেত্র। তাই নারায়ণপুর, বালিহারা, একোর, মধুপুর, চাপদুয়ার, সোহারই, ঘুঘুডাঙ্গী, মকদমপুর, ভট্টদিঘি সহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে মানুষ প্রতিমা নিয়ে এই মেলায় ছুটে আসে। মেলার বিশেষত্ব হল বিভিন্ন গ্রাম থেকে লক্ষ্মী প্রতিমা নিয়ে আগত মানুষজনকে পান সুপারি দিয়ে বরণ করে নেয় মেলা কর্তৃপক্ষ। আবার প্রদর্শনী শেষে আগতদের সকলকে মিষ্টিমুখ করিয়ে পুরস্কৃতও করা হয়। সঙ্গে বসে বিভিন্ন দোকান। যাতে প্রদর্শনীর পাশাপাশি কেনাকাটারও সুযোগ থাকে।
লক্ষ্মী প্রতিমা প্রদর্শনীর আরও একটি চমকপ্রদ কারণ রয়েছে। জেলার বিভিন্ন গ্রামে পৃথক পৃথক উপাচারে দেবী লক্ষ্মী পূজিতা হন। সিংহভাগ মানুষ এখানে শুধুমাত্র লক্ষ্মী প্রতিমা পুজো করে। আবার কিছু মানুষ লক্ষ্মী-নারায়ণ জয়া-বিজয়া একসঙ্গে একচালায় আছেন, এমন মূর্তিও পুজো করেন। কেউ আবার লক্ষ্মী গণেশকে একসঙ্গে পুজো করেন। লক্ষ্মী মেলায় এমনই সব বৈচিত্র্যপূর্ণ প্রতিমার দেখা মেলে।
বারোদুয়ারি লক্ষ্মীমেলা কমিটির কোষাধ্যক্ষ নিখিল চন্দ্র কুণ্ডু বলেন, শুধু গৃহস্থের নয়, দশের মঙ্গল কামনায় দেবী লক্ষ্মীর প্রদর্শনী করার মাধ্যমে মেলার আয়োজন হয়। সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের উদ্দেশ্যেও এই মেলার উদ্যোগ আমরা নিয়ে থাকি। এই মেলায় সকলের অংশগ্রহণ থাকে। লক্ষ্মীমেলা দেখতে মানুষের ভিড় উপচে পড়ে। উৎসাহী মানুষের ভিড় এতটাই বেশি হয় যে, আমরা জায়গা কুলিয়ে উঠতে পারি না। কিন্তু আমরা নিয়ম করে গ্রামে গ্রামে গিয়ে ভক্তদের নিমন্ত্রণ জানিয়ে আসি। বলে আসি প্রতিমা সঙ্গে করে যেন মেলায় হাজির হন। আমরা বৃহস্পতিবারও গ্রামে গিয়ে বাড়ি বাড়ি নিমন্ত্রণ জানিয়েছি। আবার আমাদের নিমন্ত্রণ পেয়ে মানুষজনও বেশ উৎসাহী। একোর গ্রামের বাসিন্দা পঞ্চানন্দ দাস, নারায়ণ চন্দ্র দাসরা বলেন, প্রতি বছর লক্ষ্মীপুজোয় এটা আমাদের এলাকার একটা অন্যতম আকর্ষণীয় উৎসব। আমরা লক্ষ্মীমেলায় যাওয়ার নিমন্ত্রণ পাওয়ার আশায় বসে থাকি। এবারও ডাক পেয়েছি। আমরা সবান্ধবে ওই মেলায় হাজির হব।