ছোট ও মাঝারি ব্যবসার প্রসার ও বিক্রয় বৃদ্ধি। অর্থাগম ক্রমশ বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা। ... বিশদ
অভিযোগ, দমকলের গাফিলতির জেরেই এদিন আগুন কার্যত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। আগুন নেভাতে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন এলেও একটিতে জল ছিল না বলে অভিযোগ। অন্যটিতেও জল ছিল অর্ধেক। সেই জল দিয়ে নেভানোর চেষ্টা করতেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই দমকল কর্মীদের ঘিরে ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে অবশেষে আসরে নামে সেনা।
বিধান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক রাজু দে বলেন, সকাল পৌনে ১০টা নাগাদ একটি দশকর্মার দোকান থেকে প্রথম ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গেই দমকলে ফোন করা হয়। ঘটনাস্থলে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন এলেও একটি ছিল ফাঁকা। অন্যটিতেও অর্ধেক জল ছিল। ফলে দমকলের ওই ইঞ্জিনে জলের কোনও চাপ ছিল না। ওই সামান্য জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এরপরই ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। দমকল কর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়।
এদিকে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ওই দু’টি ইঞ্জিনই জল ভরতে চলে যায়। ততক্ষণে আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের দোকানগুলিতে। কার্যত গোটা এলাকাই আগুনের কবলে চলে যায়। কালো ধোঁয়ায় বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। পুজোর বাজারে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলির মধ্যে ১২টি সোনার, ছ’টি কাপড়ের, তিনটি প্রসাধনীর, টিভি-ফ্রিজের দু’টি এবং দশকর্মার দু’টি দোকান রয়েছে।
দমকলের কর্তব্যরত ডিভিশনাল অফিসার দেওয়ান লেপচা বলেন, দু’টি ইঞ্জিনেই পরিপূর্ণ জল ছিল। তবে একটি গাড়িতে যান্ত্রিক ত্রুটি থাকায় কিছু সমস্যা হয়েছিল। পরে অন্য ইঞ্জিন এনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুন নেভাতে গিয়ে আমাদের এক আধিকারিক সহ তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রাথমিক ভাবে আমাদের অনুমান, শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। এদিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনেই বিধান মার্কেটে যান শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব, স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার ও পুরসভার বিরোধী দলনেতা অমিত জৈন সহ অন্যান্যরা। - নিজস্ব চিত্র