ছোট ও মাঝারি ব্যবসার প্রসার ও বিক্রয় বৃদ্ধি। অর্থাগম ক্রমশ বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা। ... বিশদ
এধরনের বাজারে আগুন লাগা ও তা ভয়ঙ্কর আকার নেওয়ার অন্যতম কারণ দোকানের ফলস সিলিং। ভাস্করবাবু বলেন, সব বাজারের অধিকাংশ দোকানে ফলস সিলিং দিয়ে সেখানে জিনিস মজুত করা হয়। এতে ঠাসা জিনিসের ভিড়ে মেইন সুইচ ঢেকে থাকছে। ফলে কখন আগুন লাগছে তা কেউই টের পাচ্ছেন না। আর ফলস সিলিংয়ের ভিতর আগুন লাগলে তা নেভানো কঠিন। উপরে চাল ও ফলস সিলিংয়ের মাঝ দিয়ে আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে। তাতে সরাসরি জল দিয়ে আগুন নেভানো যায় না। উপরের চাল সরিয়ে সেখান দিয়ে জল দিতে হয়। এজন্য অনেকটা সময় চলে যায়। আগুন ততক্ষণে ব্যাপক আকার নিয়ে ফেলে।
হকার্স কর্নার, মহাবীরস্থান, নয়াবাজার, শেঠ শ্রীলাল মার্কেট সর্বত্রই দোকানের পর দোকান হয়ে গোটা এলাকা ঘিঞ্জি হয়ে উঠেছে। অনেক জায়গায় দমকলের ইঞ্জিন ঢোকার রাস্তাও নেই। সেই সঙ্গে প্রায় প্রতিটি দোকানের ফলস সিলিংয়ের কারণে এধরনের বাজারে অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে পড়ে বলে জানান দমকল কর্মীরা।
এক প্রশ্নের উত্তরে ভাস্করবাবু বলেন, আমরা মাঝেমধ্যে বিভিন্ন বাজার, বস্তি এলাকা, স্কুল কলেজ, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধের ব্যাপারে সচেতনতা প্রচার করে থাকি। সেই প্রচারে বারবার প্রতিটি বাজার কমিটিকে বলা হয়েছে ফলস সিলিং না করার জন্য। প্রতিটি বাজারে দমকলের ইঞ্জিন রাখা সম্ভব নয়। তাই বাজারের কেন্দ্রস্থলে একটি ছোট অফিস করে সেখানে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রাখার কথা বলা হয়েছে। রাত-বিরেতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে নৈশপ্রহরী বা বাজারের ব্যবসায়ীরা যাতে আগুন দেখা মাত্রই সেগুলির সাহায্যে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে পারেন। কিন্তু শিলিগুড়ির কোনও বাজারে আজও সেই ব্যবস্থা করা হয়নি।।
এব্যাপারে কঠোর মনোভাব নিচ্ছে দমকল বিভাগ। ভাস্করবাবু বলেন, অগ্নিনির্বাপণের ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের সচেতন করা হবে। ফলস সিলিং না রাখার জন্য শহরের প্রতিটি বাজার কমিটিকে চিঠি করা হবে। শিলিগুড়ি পুরসভাকেও সেই চিঠি দেওয়া হবে। পুরসভা যাতে প্রত্যেকটি বাজারে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে নজরদারি রাখে। পুড়েছে সব। বিধান মার্কেটে। - নিজস্ব চিত্র।