ছোট ও মাঝারি ব্যবসার প্রসার ও বিক্রয় বৃদ্ধি। অর্থাগম ক্রমশ বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা। ... বিশদ
প্রায় দু’মাস জলের তলায় ভূতনি এলাকা। এই পরিস্থিতিতে এদিন এসেছিলেন ফিরহাদ। ছিলেন মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া, পুলিস সুপার প্রদীপ কুমার যাদব, মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র সহ জেলা ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা।
ভুতনি ব্রিজে উপস্থিত হয়ে ফিরহাদ কথা বলেন দুর্গতদের সঙ্গে। ত্রাণ দেওয়ার পর তিনি ও বিধায়ক ঘটনাস্থাল থেকে চলে যেতেই বদলে যায় চিত্র। প্রশাসন লাইন করে ত্রাণ দেওয়ার চেষ্টা করলেও কিছুক্ষণ পর উত্তেজিত হয়ে পড়েন দুর্গতরা। হঠাত্ ত্রাণ লুট শুরু করেন কয়েকজন। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে ত্রাণ বিতরণকারী কর্মীরা দুর্গতদের উদ্দেশ্যে প্যাকেট ছুড়ে দিতে বাধ্য হন। প্যাকেট ধরতে হুড়োহুড়ি শুরু হলে মাটিতে পড়ে নষ্ট হয় ত্রাণ। দুর্গত সুকুমার মণ্ডল বলেন, ত্রাণ নিতে এলেও পরিস্থিতি দেখে সাহস হয়নি। আরও সুষ্ঠুভাবে ত্রাণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
অন্যদিকে, ভূতনির দক্ষিণ চণ্ডীপুর কাটাবাঁধে নৌকা দুর্ঘটনা ঘিরে বিপত্তি। জলের স্রোতে ভেসে যান কয়েকজন যাত্রী। স্থানীয়রা এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তৎপরতায় তিনজনকে উদ্ধার করা হলেও নিখোঁজের সংখ্যা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ চণ্ডীপুরের হনুমান মন্দির থেকে নৌকা করে পারাপার করছিলেন যাত্রীরা। নৌকাটি পাড়ে লাগা মাত্রই জলের তোড়ে কাত হয়ে যায়। যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে নামার চেষ্টা করলে কয়েকজন জলে পড়ে স্রোতে ভেসে যান। ঘটনাটি দেখা মাত্রই স্থানীয় এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী তিনজনকে উদ্ধার করে। কয়েকজন ভেসে গিয়েছে সন্দেহে শুরু হয় তল্লাশি। কেউ নিখোঁজ হয়েছেন কি না, তা নিয়ে ধন্দে প্রশাসন। নৌকার যাত্রী রুমা ঘোষ বলেন, মাঝির গাফিলতির কারণে এই দুর্ঘটনা। অতিরিক্ত যাত্রী তোলা নিয়ে বারবার আপত্তি জানালেও তিনি শোনেননি। নৌকা পাড়ে লাগা মাত্রই কাত হয়ে উল্টে যাচ্ছিল। স্থানীয়দের তৎপরতায় রক্ষা পেয়েছি। চোখের সামনে তিনজন তলিয়ে যান। দুজনকে উদ্ধার করা হলেও এক মহিলা ভেসে গিয়েছেন।
বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র বলেন, পাঁচজন নিখোঁজের খবর পেয়েছিলাম। তারমধ্যে তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তল্লাশি অভিযান চলছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি।