হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে। ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ: সন্ধ্যায় এমনিতেই ইংলিশবাজার শহরের রাস্তাঘাট জমজমাট থাকে। শহরের কেন্দ্রস্থল বলে পরিচিত পোস্ট অফিস মোড়ে ভিড় অন্যান্য জায়গার তুলনায় একটু বেশি হয়। বুধবার সন্ধ্যায় জনবহুল ওই পোস্ট অফিস মোড়ে যুযুধান দু’পক্ষের লড়াইয়ে হুলুস্থুল পড়ে যায়। তবে এটা কোনও দুষ্কৃতী দলের লড়াই নয়। দুটি পূর্ণবয়স্ক ষাঁড়ের মুখোমুখি লড়াইয়ের জেরে পথচারী থেকে যানবাহনের আরোহী সবাই ত্রাহি মধুসূদন রব তুলতে শুরু করেন। আশাপাশের দোকানের মালিক-কর্মচারীরা শাটার নামাতে উদ্যত হন। ক্রেতারা এদিক-ওদিক সুরক্ষিত জায়গার খোঁজে ব্যস্ত হয়ে ওঠেন। এভাবে বেশ কিছুক্ষণ চলার পর অবশ্য লড়াই বন্ধ হয়। মারমুখী ষাঁড় দুটিকে দু’দিকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ততক্ষণে ব্যস্ততম ওই রাস্তার মোড়ে তীব্র যানজট শুরু হয়ে যায়।
মালদহ সদর মহকুমা শাসক পঙ্কজ তামাং বলেন, শহরে যত্রতত্র ঘুরে বেড়ানো বেওয়ারিশ গবাদি পশু উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেশ কয়েকটি ষাঁড় শহরের রাস্তায় ঘোরাফেরা করে। সেগুলিকে পশু খামারে কীভাবে পাঠানো যায় তা দেখা হচ্ছে।
শহরের বাসিন্দা অশোক দাস, মায়া সরকার বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় পোস্ট অফিস মোড় হয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি দুটি বিশালাকার ষাঁড় শিং উঁচিয়ে একে অন্যের দিকে তেড়ে যাচ্ছে। মুহুর্তে পশু দুটি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। কিছুতেই তাদের বাগে আনা যাচ্ছিল না। ওই চত্বরে থাকা সকলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে লাঠি নিয়ে ষাঁড় দুটিকে দু’দিকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এর আগে শহরে ‘তোলাবাজ’ ভোলাকে নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে চর্চা চলেছিল। ভোলা নামে এক প্রকাণ্ড ষাঁড় শহরের ফুটপাতে থাকা খাবারের দোকানে হানা দিত। খাবার না দিলে সে দোকানে হামলা চালাতে উদ্যত হত। কখনও আবার দোকানের সামনে আড়াআড়িভাবে দাঁড়িয়ে ক্রেতাদের ভয় দেখাত। ফলে সুষ্ঠু বেচাকেনার তাগিদে ব্যবসায়ীরা ভোলাকে শুরুতেই খাবার দিয়ে বিদায় করে দেওয়ার চেষ্টা করত। বিষয়টি ‘বর্তমান’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তখন প্রশাসন এব্যাপারে সক্রিয় হয়। শহরের রাস্তাঘাটে গোরু-বাছুরের অবাধ বিচরণ নিয়েও প্রশাসনিক সক্রিয়তা লক্ষ্য করা যায়। ওইসময় ইংলিশবাজার পুরসভায় প্রশাসকের দায়িত্বে ছিলেন সদর মহকুমা শাসক। তিনি এব্যাপারে পদক্ষেপ করেন। গবাদি পশুকে ধরে খামার বা খাটালে চালান করে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ছেড়ে রাখা গবাদি পশুর মালিকদের জরিমানা করা হবে বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যদিও পরবর্তীকালে বিষয়টি বিশবাঁও জলে চলে যায়। তারফলে বর্তমানে শহরের রাস্তাঘাট, সেতু, উড়ালপুলে গবাদি পশুর দৌরাত্ম্য সমানে চলছে।
মালদহ সদর মহকুমা শাসক পঙ্কজ তামাং বলেন, শহরে যত্রতত্র ঘুরে বেড়ানো বেওয়ারিশ গবাদি পশু উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেশ কয়েকটি ষাঁড় শহরের রাস্তায় ঘোরাফেরা করে। সেগুলিকে পশু খামারে কীভাবে পাঠানো যায় তা দেখা হচ্ছে।
শহরের বাসিন্দা অশোক দাস, মায়া সরকার বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় পোস্ট অফিস মোড় হয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি দুটি বিশালাকার ষাঁড় শিং উঁচিয়ে একে অন্যের দিকে তেড়ে যাচ্ছে। মুহুর্তে পশু দুটি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। কিছুতেই তাদের বাগে আনা যাচ্ছিল না। ওই চত্বরে থাকা সকলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে লাঠি নিয়ে ষাঁড় দুটিকে দু’দিকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এর আগে শহরে ‘তোলাবাজ’ ভোলাকে নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে চর্চা চলেছিল। ভোলা নামে এক প্রকাণ্ড ষাঁড় শহরের ফুটপাতে থাকা খাবারের দোকানে হানা দিত। খাবার না দিলে সে দোকানে হামলা চালাতে উদ্যত হত। কখনও আবার দোকানের সামনে আড়াআড়িভাবে দাঁড়িয়ে ক্রেতাদের ভয় দেখাত। ফলে সুষ্ঠু বেচাকেনার তাগিদে ব্যবসায়ীরা ভোলাকে শুরুতেই খাবার দিয়ে বিদায় করে দেওয়ার চেষ্টা করত। বিষয়টি ‘বর্তমান’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তখন প্রশাসন এব্যাপারে সক্রিয় হয়। শহরের রাস্তাঘাটে গোরু-বাছুরের অবাধ বিচরণ নিয়েও প্রশাসনিক সক্রিয়তা লক্ষ্য করা যায়। ওইসময় ইংলিশবাজার পুরসভায় প্রশাসকের দায়িত্বে ছিলেন সদর মহকুমা শাসক। তিনি এব্যাপারে পদক্ষেপ করেন। গবাদি পশুকে ধরে খামার বা খাটালে চালান করে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ছেড়ে রাখা গবাদি পশুর মালিকদের জরিমানা করা হবে বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যদিও পরবর্তীকালে বিষয়টি বিশবাঁও জলে চলে যায়। তারফলে বর্তমানে শহরের রাস্তাঘাট, সেতু, উড়ালপুলে গবাদি পশুর দৌরাত্ম্য সমানে চলছে।
