হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে। ... বিশদ
ময়নাগুড়ির বিডিও প্রসেনজিৎ কুণ্ডু বলেন, যেহেতু বিডিও অফিস ক্যাম্পাসে প্রাণী স্বাস্থ্যকেন্দ্র তাই চিকিৎসক ছুটি নিয়ে থাকলে সেটা আমাকে জানানো উচিত ছিল। একই কথা বলেছেন ব্লক লাইফস্টক ডেভেলপমেন্ট অফিসার কুন্দ মুর্মু। তিনি বলেন, ওই চিকিৎসকের ছুটির বিষয়ে আমি জানি না। আমাকে কোনও কিছু জানানোও হয়নি। বিষয়টি দেখব। প্রাণী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রতিদিনই ব্লকের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর মানুষ গবাদিপশু নিয়ে আসে। এমনিতেই চিকিৎসা কেন্দ্রটি পরিকাঠামো সমস্যায় জর্জরিত। তার উপর মাঝেমধ্যেই একমাত্র চিকিৎসকের দেখা পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ। চিকিৎসা কেন্দ্রে একজন ফার্মাসিস্ট এবং একজন পিওন আছেন। চিকিৎসকের অনুপস্থিতিতে তাঁরাই কাজ করেন।
ফার্মাসিস্ট সুব্রত বেরা বলেন, চিকিৎসক আছেন। এটা ঠিক মাঝেমধ্যে উনি আসেন না। কি কারণে আসেন না, তা জানা নেই। লোকজন অসুস্থ গবাদিপশু নিয়ে এলে সাধারণ কিছু ওষুধপত্র দিয়ে দিই।
চিকিৎসা কেন্দ্রে আসা রিপ্রেজেন্টেটিভ রাকেশ সাহা বলেন, বৃহস্পতিবার চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম, তাঁর দেখা পেলাম না। বুধবারও এসেছিলাম, সেদিনও তিনি ছিলেন না।
চিকিৎসক প্রহ্লাদ কুণ্ডু বলেন, বৃহস্পতিবার ছুটি নিয়েছি। বুধবার কি এসেছিলেন, প্রশ্ন শুনতেই ফোনের সংযোগ ছিন্ন করে দেন। পরে একাধিকবার তাঁকে টেলিফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বৃহস্পতিবার চিকিৎসা কেন্দ্রে আসা হাসপাতালপাড়ার বাসিন্দা ভজন মণ্ডল, শিঙিমারির স্বর্ণবালা রায় বলেন, অসুস্থ গবাদিপশু নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু চিকিৎসককে পাইনি। ফার্মাসিস্ট গবাদিপশু দেখে কিছু ওষুধ দিয়েছেন। স্থানীয় পশুপ্রেমী সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা আহত পশু হাসপাতালে নিয়ে এলেও চিকিৎসকের দেখা পাই না। সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু না হওয়ায় অতীতে হাসপাতালে আনার পরও গবাদিপশু মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।