পানামা সিটি: অবৈধ অভিবাসীদের ঠাঁই নেই আমেরিকায়। ইতিমধ্যে ভারতের তিনশোর বেশি অবৈধ অভিবাসীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে সরাসরি না পাঠিয়ে তৃতীয় দেশের মাধ্যমে অভিবাসীদের ফেরত পাঠাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। এক্ষেত্রে ‘সেতুবন্ধন’ হিসেবে কাজ করছে পানামা ও কোস্টারিকার মতো দেশ। পানামাতে বর্তমানে ৩০০ জনের বেশি অভিবাসীকে রাখা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে অনেকেই ভারতীয়। এছাড়াও ইরান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং চীনের নাগরিকরাও রয়েছেন। হোটেলে তাঁদের ‘বন্দি’ করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিবাসীদের রাখা হয়েছে ভয়ঙ্কর ডারিয়ান জঙ্গল ঘেঁষা আশপাশের হোটেলগুলিতে। সেখান থেকে সাহায্য চেয়ে কাতর আর্জি জানাচ্ছেন তাঁরা। সেরকমই একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। দেখা গিয়েছে, হোটেলের জানালার ধারে ‘প্লিজ সেভ’ লেখা একটি প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন অভিবাসীরা। বিষয়টি নিয়ে শোরগোল হতেই বিবৃতি দিয়েছে পানামার ভারতীয় দূতাবাস। দূতাবাসের এক্স হ্যান্ডলে লেখা হয়েছে, পানামা প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে, ভারতীয়রা সুরক্ষিত ও সুস্থ রয়েছেন। প্রয়োজনীয় সবকিছুই দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। পাশাপাশি পানামা প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলছে দূতাবাস।’
অনেকেরই মতো অবৈধ পথে আমেরিকায় ঢুকেছিলেন ইরানের ২৭ বছরের যুবক এ হাসেমজাদেহ। তাঁকেও রাখা হয়েছে পানামার হোটেলে। তাঁর অভিযোগ, যেন চিড়িয়াখানায় রয়েছি। আমাদের বাসি রুটি খেতে দেওয়া হচ্ছে। মেঝেতে ঘুমিয়ে দিন কাটছে। তবে অভিবাসীদের অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছেন পানামার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্র্যাঙ্ক আবরেগো। তিনি বলেন, অভিবাসীরা বন্দি নন, তাঁদের যথেষ্ট খেয়াল রাখা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ৩০০ জন অবৈধ অভিবাসীর মধ্যে ১৭১ জন তাঁদের দেশে ফিরে যেতে রাজি হয়েছেন। বাকিরা ফিরতে রাজি হচ্ছেন না। তাঁদের অন্য কোনও দেশে পাঠানোর চেষ্টা চলছে।