শাস্ত্র অধ্যয়নে গতি বৃদ্ধি ও পরীক্ষায় শুভ ফল লাভের সম্ভাবনা। নতুন কর্মপ্রাপ্তি হতে পারে। দাম্পত্যে ... বিশদ
ক্ষমতায় আসার পরেই রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর উপর বারবার জোর দিয়েছেন ট্রাম্প। সেই লক্ষ্যেই রিয়াধে প্রথমবার বৈঠক করেন রাশিয়া ও আমেরিকার প্রতিনিধিরা। এদিন ওয়াশিংটনের প্রতিনিধিত্ব করেন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ ও মধ্য প্রাচ্য অঞ্চলের দূত স্টিভ উইটকফ। মস্কোর হয়ে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ও পুতিনের অন্যতম সহযোগী ইয়ুরি উশাকভ। যদিও এদিনের বৈঠকে ছিলেন না কিয়েভের কোনও প্রতিনিধি। তাই রিয়াধের এই বৈঠককে গুরুত্ব দিতে নারাজ তারা। জেলেনস্কি অবশ্য সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘আমাদের অনুপস্থিতিতে করা চুক্তির কোনও মূল্য নেই।’ ইতিমধ্যে ইউক্রেনকে ন্যাটোয় অন্তর্ভুক্ত করার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। ফলে ইউরোপে ‘নতুন বন্ধু’ খুঁজতে তৎপর জেলেনস্কি। আজ, বুধবার সস্ত্রীক সৌদি সফরে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সেই সফর বাতিল করেছেন তিনি। রুশ-আমেরিকার এই আপাত নৈকট্যের উপর চোখ রাখছে ন্যাটোর শরিক ইউরোপের একাধিক দেশ। যুদ্ধের শুরু থেকেই তাদের বিরুদ্ধে ইন্ধন জোগানোর অভিযোগের আঙুল তুলেছে ক্রেমলিন।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালায় রুশ বাহিনী। পাল্টা জবাব দেয় জেলেনস্কির দেশ। তারপর কেটে গিয়েছে তিন বছর। প্রাণ হারিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। রক্তক্ষয়ী এই সংঘর্ষের প্রভাব পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। এই পরিস্থিতিতে পুতিনের এই ঘোষণায় বাড়ছে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা। এদিন তুরস্কের আঙ্কারায় ইউক্রেনের নয়া দূতাবাসের উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন জেলেনস্কি। তিনি বলেন, ‘দেশ হিসেবে আমরাও শান্তি চাই। যুদ্ধ থামাতে চাই। তবে এর জন্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত কিছু প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। আশা করি, আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, তুরস্ক ও ইউরোপের প্রতিটি দেশ বিষয়টি নিশ্চিত করবে।’