নয়াদিল্লি: ট্রেন ছাড়তে বেশি দেরি নেই। স্টেশনে দৌড়চ্ছে তরুণ-তরুণী। ট্রেন মিস হলেই বিপত্তি। ইউরোপ সফরে চলেছে দু’জনেই। একজন বাবার কথা রাখতে। বাবা অপূর্ণ ইচ্ছাকে পূরণ করতে। অপরজন একমাসের জন্য জীবনকে উপভোগ করতে। ট্রেনে উঠে পড়ে তরুণ। ভিতরে ঢোকার আগে সেই তরুণীকে ছুটতে দেখে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। ওই হাত সম্বল করেই লাফিয়ে ট্রেনে উঠে পড়ে তরুণী। তাদের প্রথম দেখা এভাবেই। শুরু হয় রাজ-সিমরনের গল্প। বন্ধুত্ব, প্রেম, নির্ভেজাল ভালোবাসার গল্প। শাহরুখ খান-কাজল জুটির সবচেয়ে আলোচিত, ব্যবসাসফল সিনেমার গল্প। ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে’। লন্ডনের কিংস ক্রস স্টেশনে শুরু হয় রুপোলি পর্দার রোমান্টিক ইতিহাসের জার্নি। সেই জার্নিকেই উদযাপন করতে চলেছে ব্রিটিশ রেলওয়ে। ব্রিটেনের আধুনিক রেলপথ ব্যবস্থার দ্বিশতবর্ষ ও শাহরুখ-কাজলের ‘ডিডিএলজে’-এর ৩০ বছর পূর্তি— এবছর একই বিন্দুতে মিলে গিয়েছে এই দুই ‘উৎসব’। এ কারণে যশরাজ ফিল্মস ও ব্রিটিশ রেলওয়ের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হচ্ছে ‘কাম ফল ইন লাভ— দ্য ডিডিএলজে মিউজিক্যাল’ শীর্ষক অনুষ্ঠান। আগামী ২৯ মে ম্যানচেস্টার অপেরা হাউজে শুরু হবে এই অনুষ্ঠান। চলবে ২১ জুন পর্যন্ত। ডিলিএলজে’র গান ও গল্পকে নাটকের আকারে সাজিয়ে দেখানো হবে মঞ্চে। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সুরের মিশ্রণে তৈরি হয়েছে ১৮টি ইংরেজি গান। সেগুলি পরিবেশন করবেন শিল্পীরা। রাজ-সিমরনের প্রথম সাক্ষাতের দৃশ্যটিও মঞ্চস্থ হবে।
১৯৯৫ সালের ২০ অক্টোবর। ‘দিলওয়ালে...’ হাত ধরে পরিচালনায় হাতেখড়ি যশ চোপড়ার পুত্র আদিত্য চোপড়ার। ৩০ বছর পরও এই ছবি নতুন। ‘যা সিমরন যা’ বা ‘পলট পলট পলট’— দর্শক হৃদয়ে গেঁথে রয়েছে সংলাপগুলি। রাজের ম্যান্ডোলিনের সুরে সিমরনের ছুটে যাওয়া। শ্বশুরবাড়ি থেকে প্রেমিকাকে ‘জয়’ করে আনা... প্রেমের নতুন সংজ্ঞা লিখেছিল এই ছবি। পরিচালক বুঝিয়েছিলেন, এর নামই তো প্রেম। অসম লড়াই শেষে ভালোবাসার জিৎ। তার ফল ‘ডিডিএলজে’। প্রথম ছবিতেই বাজিমাত। রাজ সিমরনের প্রথম দেখা হোক বা শেষ দৃশ্য— এই ছবিতে পরতে পরতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হিসেবে দেখা দিয়েছে রেলস্টেশন। এই সফরকেই উদযাপন করবে ব্রিটিশ রেলওয়ে। এক বিবৃতিতে ‘রেলওয়ে ২০০’ আয়োজনের সিইও সুজান ডোনেলি বলেছেন, ‘যুগ যুগ ধরে পরিচালকদের অনুপ্রাণিত করেছে রেল। যাতায়াত মাধ্যমের বাইরে সংস্কৃতিতেও রেল ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। তাই এই অভিনব অনুষ্ঠানের আয়োজন।’