শাস্ত্র অধ্যয়নে গতি বৃদ্ধি ও পরীক্ষায় শুভ ফল লাভের সম্ভাবনা। নতুন কর্মপ্রাপ্তি হতে পারে। দাম্পত্যে ... বিশদ
বৃহস্পতিবার (ভারতীয় সময়ে শুক্রবার) ওয়াশিংটনে বৈঠকের পর দুই রাষ্ট্রনায়ক যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। সেখানে মোদি-ট্রাম্প স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ‘সন্ত্রাসবাদ দমনে দায়িত্ব নিতে হবে পাকিস্তানকে। ভবিষ্যতে তাদের মাটি ব্যবহার করে যাতে প্রতিবেশী দেশে জঙ্গি হামলা না চলে, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।’ এদিন হোয়াইট হাউসের ইস্ট রুমে দাঁড়িয়ে দু’জনে একসুরে জানান, ২৬/১১ মুম্বই হামলা বা ২০২১ সালে আফগানিস্তানে অ্যাবি গেট বিস্ফোরণের মতো ঘটনা এড়াতে আল-কায়েদা, আইএস, জয়েশ-লস্করের মতো জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে একযোগে লড়াই করতে হবে। ২৬/১১ মুম্বই এবং পাঠানকোট হামলায় অভিযুক্তদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। পাকিস্তানের উপর চাপ বাড়িয়ে ২৬/১১ হামলার অন্যতম চক্রী তাহাউর রানাকে ‘ভেরি ইভিল পিপল’ উল্লেখ করেন ট্রাম্প। আরও বলেন, ‘বিচারের মুখোমুখি হওয়ার জন্য আমরা ওঁকে দ্রুত ভারতে ফেরত পাঠাচ্ছি।’ এই সিদ্ধান্তের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান মোদি।
শেখ হাসিনা পরবর্তী অশান্ত বাংলাদেশ নিয়ে ট্রাম্প কী পদক্ষেপ নেন, এদিন সেদিকেও নজর ছিল সকলের। সম্প্রতি অভিযোগ ওঠে, হাসিনা সরকারকে উত্খাতের জন্য গোপনে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করেছিল আমেরিকা। এদিন সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। দ্বিধাহীন গলায় বলেছেন, ‘বাংলাদেশ সঙ্কটে আমাদের কোনও গোপন ভূমিকা নেই। এব্যাপারে আমেরিকা কোনওভাবে নাক গলাবে না।’ বরং ‘ফ্রি হ্যান্ড’ দিয়েছেন ভারতকে। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। তাই বাংলাদেশের সমস্যা মেটানোর বিষয়টি তাঁর উপরেই ছাড়তে চাই।’ এমনকী ভারত ও চীনের সীমান্ত সমস্যা মেটাতেও মধ্যস্থতা করতে রাজি বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে দিল্লির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই বিষয়টি দ্বিপাক্ষিকভাবেই মেটাতে চায় ভারত।
ট্রাম্প দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম আমেরিকা সফরে মোদি। দুই রাষ্ট্রনেতার ‘সুসম্পর্কে’র কথা সুবিদিত। কিন্তু সম্প্রতি অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো এবং কর সংক্রান্ত বিতর্কের পর দু’জনের বৈঠকের দিকে নজর ছিল সকলের। বিতর্কের সমাধান অবশ্য হয়নি। তবে একাধিক দ্বিপাক্ষিক চুক্তি এবং পাকিস্তান-বাংলাদেশ নিয়ে ট্রাম্পের মনোভাব মোদিকে আশ্বস্ত করবে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।