লাহোর, ১১ আগস্ট (পিটিআই): জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা হারানোর ক্ষোভ আছড়ে পড়ল পাকিস্তানের লাহোরেও। কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনী ভেঙে লাহোর ফোর্টে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল মহারাজা রণজিৎ সিংয়ের মূর্তি। শনিবার রাতের এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। কড়া ভাষায় ঘটনার নিন্দা করেছে ‘ওয়াল্ড সিটি অব লাহোর অথরিটি (ডব্লিউসিএলএ)। ঈদের উৎসব মিটে যাওয়ার পরেই তড়িঘড়ি করে মূর্তিটি পুনর্নিমাণ করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করার পর থেকে পাকিস্তান ক্ষুব্ধ। কূটনৈতিক স্তরে তার প্রতিবাদও জানিয়ে যাচ্ছে ইমরান খানের সরকার। ভারতের সঙ্গে যাবতীয় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কও ছিন্ন করেছে ইসলামাবাদ। তার পরেই সাধারণ দুই পাক নাগরিকের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ দেখল লাহোর। পুলিস জানিয়েছে, ধৃত দুই ব্যক্তি তেহেরিক-লাব্বাইক নামে কট্টরপন্থী একটি ইসলামিক সংগঠনের সক্রিয় সদস্য বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি অশ্রদ্ধা জ্ঞাপন সংক্রান্ত আইন মোতাবেক মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
উনিশ শতকে পাঞ্জাবের শাসক ছিলেন মহারাজা রণজিৎ সিং। শাসন ক্ষমতায় ছিলেন দীর্ঘ ৪০ বছর। মারা গিয়েছিলেন ১৮৩৯ সালে। তাঁর ১৮০ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে লাহোর ফোর্টের ভিতরেই খাঁটি ব্রোঞ্জের একটি মূর্তি স্থাপিত হয়। ব্রিটেনের শিখ হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ৯ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট মূর্তিটি স্থাপন করে ডব্লিউসিএলএ। নির্মিত হওয়ার পরই লাহোর ফোর্টের অন্যতম দ্রষ্টব্য হয়ে উঠে ঘোড়সওয়ারি রণজিতের এই মূর্তিটি। ধৃত দুই ব্যক্তির হামলায় মূর্তিটি প্রায় দুরমুশ হয়ে গিয়েছে বলে পুলিস সূত্রে খবর। ডব্লিউসিএলএ’র মুখপাত্র তানিয়া কুরেশি জানিয়েছেন, অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। খুব শীঘ্রই মহারাজা রণজিৎ সিংয়ের মূর্তিটি পুনর্নিমাণ করা হবে। ঈদের পর্ব মিটে যাওয়ার পরেই সেই কাজে হাত দেওয়া হবে। এরই পাশাপাশি, লাহোর ফোর্টের নিরাপত্তা জোরদার করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তানিয়া।