শাস্ত্র অধ্যয়নে গতি বৃদ্ধি ও পরীক্ষায় শুভ ফল লাভের সম্ভাবনা। নতুন কর্মপ্রাপ্তি হতে পারে। দাম্পত্যে ... বিশদ
বিজেপির অভিযোগ, ভারতের স্বার্থ বিপন্ন করতে বিদেশি এজেন্সিগুলির হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছেন রাহুল গান্ধী। এক্ষেত্রে নাম না করে ফের মার্কিন ধনকুবের জর্জ সোরোসের সঙ্গে গান্ধী পরিবারের আঁতাতের কথা তুলে ধরেছে তারা। পাল্টা মাঠে নেমেছে কংগ্রেসও। তাদের দাবি, ট্রাম্প ‘ভুলভাল বকছেন’। দশকের পর দশক ধরে সরকার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির কাছে আসা ইউএস-এইডের অনুদান সম্পর্কে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক মোদি সরকার। ‘ইন্ডিয়া’ জোটের শরিক তথা জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা আবার এব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে জবাবদিহি করার দাবি তুলেছেন।
দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেই মার্কিন সরকারের ব্যয় সংকোচের পথে হেঁটেছেন ট্রাম্প। সেই কারণেই ভারত সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইউএস-এইডের কোটি কোটি ডলার অনুদান বন্ধের সিদ্ধান্ত। পরপর দু’দিন এই পদক্ষেপের পক্ষে জোরালো সওয়াল করেন ট্রাম্প। মায়ামিতে এদিন এআইআই প্রায়োরিটি সামিটে তিনি কাঠগড়ায় তোলেন পূর্বসূরি জো বাইডেনকে। তারপরই ভারতের নির্বাচনে গোপন হস্তক্ষেপের আশঙ্কা উঠে আসে তাঁর গলায়। সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যের পোস্ট, ‘২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের প্রচারে বিদেশি হস্তক্ষেপের আশঙ্কা নিয়ে বারবার সতর্ক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এখন ডোনাল্ড ট্রাম্পও নিশ্চিত করছেন, ভারতের নির্বাচনকে বাইরে থেকে প্রভাবিত করে অন্য কাউকে প্রধানমন্ত্রী পদে বসানোর চেষ্টা চলেছিল। সেজন্য ভারতে বিদেশ থেকে টাকা ঢালা হয়েছিল।’ বিজেপি নেতার আরও অভিযোগ, ‘২০২৩ সালে মার্চে লন্ডনে গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। আমেরিকা থেকে ইউরোপ— সব বিদেশি শক্তির কাছে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি।’ মার্কিন ধনকুবের জর্জ সোরোস ও তাঁর ফাউন্ডেশনের নাম অবশ্য নেননি তিনি। তবে সাফ বলেছেন, ‘ভারতের ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থকে বিপন্ন করতে আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন রাহুল গান্ধী।’ পাল্টা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়রাম রমেশের পোস্ট, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি সম্পূর্ণ ভুলভাল। তা সত্ত্বেও দশকের পর দশক ধরে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির কাছে আসা ইউএস-এইডের অনুদান নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব বিস্তারিত তথ্য সহ শ্বেতপত্র প্রকাশ করা উচিত ভারত সরকারের।’