শাস্ত্র অধ্যয়নে গতি বৃদ্ধি ও পরীক্ষায় শুভ ফল লাভের সম্ভাবনা। নতুন কর্মপ্রাপ্তি হতে পারে। দাম্পত্যে ... বিশদ
সোমবার সন্ধ্যায় সোনালি নামে ওই মহিলার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিকভাবে শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা দাবি করেছিল, এটা আত্মহত্যার ঘটনা। যদিও শিশুকন্যাটি কাঁদতে কাঁদতে সকলকে জানায়, মাকে প্রচণ্ড মারধর করেছেন বাবা। তারপরই শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। কাঁচা হাতে ছবি এঁকে বিস্তারিত ঘটনাটি তুলে ধরে সে। এর পরই সবর হয় মৃত মহিলার বাপের বাড়ির লোকজন। দাবি করেন যে, এটি আত্মহত্যা নয়, খুনের ঘটনা। যতক্ষণ না শ্বশুরবাড়ির লোকেদের গ্রেপ্তার করা হবে, ততক্ষণ দেহের ময়নাতদন্তে অসম্মত্তি জানান তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করতে হয় পুলিসকে। দু’পক্ষের সঙ্গে কথা বলে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। সেইসঙ্গে মামলা রুজুর মাধ্যমে শুরু হয় তদন্ত। জানা গিয়েছে, যৌতুকের দাবি না মানার কারণেই খুন করা হয়েছে সোনালিকে। ইতিমধ্যে পুলিস মহিলার স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে। মৃতার বাবা সঞ্জীব ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, বিয়ের সময় সন্দীপকে পণ বাবদ ২০ লক্ষ টাকা নগদ ও অন্যান্য উপহার দিয়েছিলেন। কিন্তু, বিয়ের পর থেকে শ্বশুড়বাড়ির লোকজন পণ বাবদ একটি গাড়ি দাবি করে। সেই দাবি পূরণ না হওয়ায় মেয়ের উপর অত্যাচার শুরু করে সন্দীপ ও তাঁর বাড়ির লোকজন। এব্যাপারে পুলিসেও অভিযোগ জানানো হয়েছিল। কিন্তু, পরে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তারপরও মেয়ের এই করুণ পরিণতির জন্য সন্দীপকেই দায়ী করেছেন মৃতার বাবা।