শাস্ত্র অধ্যয়নে গতি বৃদ্ধি ও পরীক্ষায় শুভ ফল লাভের সম্ভাবনা। নতুন কর্মপ্রাপ্তি হতে পারে। দাম্পত্যে ... বিশদ
তবে শুধু কুম্ভের ব্যবস্থাপনা নয়, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের রিপোর্টে প্রশ্ন উঠেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষিত ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পের কার্যকারিতা নিয়েও। এক আরটিআইয়ের জবাবে খোদ কেন্দ্রই জানিয়েছিল, ২০১৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত নমামি গঙ্গের জন্য প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরেও গঙ্গার জলে দূষণ কেন কমল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছেই।
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের রিপোর্টে কী বলা হয়েছে? ১২ ও ১৩ জানুয়ারি সঙ্গমের জলের বায়োকেমিক্যাল অক্সিজেন ডিমান্ড (বিওডি) মাপা হয়েছিল। বিওডি বেশি থাকার অর্থ জলে ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি। সেই পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রয়াগরাজের বিভিন্ন ঘাটে এই বিওডির মাত্রা অত্যধিক বেশি। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, শাহিস্নান ও অন্য শুভ দিনগুলিতে সঙ্গমে পুণ্যার্থীর ভিড় অনেক বেড়েছে। আর ওই দিনগুলিতে গঙ্গার জলে মলমূত্র মেশার পরিমাণও বেড়ে গিয়েছে। সিপিসিবির হিসেব অনুযায়ী, প্রতি ১০০ মিলিলিটার জলে ২৫০০ ইউনিট কলিফর্ম ব্যাক্টেরিয়াকে নিরাপদ ধরা হয়। তবে সঙ্গমের জলে এই পরিমাণ কত তা জানা যায়নি। প্রয়াগরাজের বর্তমান পয়ঃনিষ্কাশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে গত বছরের ডিসেম্বরেই প্রশ্ন তুলেছিল ট্রাইব্যুনাল। ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলাকালীন নদীর জলের গুণগত মান যাতে বজায় থাকে, তার জন্য আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। এছাড়া উত্তরপ্রদেশে দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডকে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতেও নির্দেশ দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু সেই সময় যোগীরাজ্যের আধিকারিকরা শুধু জল পরীক্ষার রিপোর্টই জমা দিয়ে দায় সারে। ছবি: পিটিআই