শাস্ত্র অধ্যয়নে গতি বৃদ্ধি ও পরীক্ষায় শুভ ফল লাভের সম্ভাবনা। নতুন কর্মপ্রাপ্তি হতে পারে। দাম্পত্যে ... বিশদ
ফুড সাপ্লিমেন্টগুলির মধ্যে ‘নিউট্রাসিউটিক্যাল’গুলি (ট্যাবলেট, ক্যাপসুল ইত্যাদি) নিয়েই এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে কমিটি। এগুলিকে ‘খাদ্যদ্রব্য’ নাকি ‘ওষুধ’, কীভাবে সংজ্ঞায়িত করা উচিত, স্থির করতে সম্প্রতি আন্তঃমন্ত্রক কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তাতে ছিলেন ওষুধ, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, আয়ুষ ও স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সচিব। ছিলেন ফ্যাসাইয়ের সিইও, আইসিএমআর-এর ডিজি, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের ডিজিএইচএস এবং সিডিএসসিও’র ডিসিজিআইয়ের মতো শীর্ষকর্তারাও। ২০ পৃষ্ঠার রিপোর্টে তাঁরা কেন্দ্রকে জানিয়েছেন, যেসব ফুড সাল্পিমেন্টে ভিটামিন, মিনারেলস, অ্যামাইনো অ্যাসিড, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট প্রভৃতি আছে এবং নির্দিষ্ট ডোজে খেতে বলা আছে, সেগুলিকে ‘ফুড’ বা খাদ্যদ্রব্য থেকে সরিয়ে ‘ড্রাগ’ বা ওষুধে অন্তর্ভুক্ত করা হোক। দ্বিতীয়ত, ফুড সাল্পিমেন্ট, নিউট্রাসিউটিক্যালসের গুণমান সুনিশ্চিত করতে পৃথক জিএমপি বা গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিস চালু হোক। তৃতীয়ত, যেসব সাপ্লিমেন্ট নির্দিষ্ট রোগ কমিয়ে দেওয়া বা সারিয়ে দেওয়ার দাবি করছে, সেগুলি ‘ওষুধ’ বলে গণ্য হোক।
ডায়েটারি সাপ্লিমেন্টকে মোটামুটিভাবে ছ’ভাগে ভাগ করা যায়। হেলথ সাপ্লিমেন্টস, নিউট্রাসিউটিক্যালস, প্রো ও প্রিবায়োটিকস, বোটানিক্যাল বা এক্সট্র্যাক্টস, ফুড ফর স্পেশাল ডায়েটারি ইউজ ও ফুড ফর স্পেশাল মেডিক্যাল পারপাস। এগুলির ৮০ শতাংশই ক্যাপসুল ও ট্যাবলেটধর্মী নিউট্রাসিউটিক্যালস। শিল্পমহলের আশঙ্কা, এগুলি ওষুধ মন্ত্রকের আওতায় গেলে অধিকাংশ রপ্তানিই ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ পণ্যগুলিকে ‘ফুড’ হিসেবেই দেশ থেকে কেনে বিদেশি সংস্থাগুলি। ‘ওষুধ’-এ পরিণত হলে কেনাবেচা বন্ধ হবে। কমিটি ওষুধ ও পণ্যসংক্রান্ত আইনেও সংশোধনী চাইছে। দীর্ঘসূত্রিতায় এতেও ব্যবসার ভবিষ্যৎ অন্ধকার হবে বলে মনে করছে তারা। ফ্যাসাইয়ের প্রাক্তন অধিকর্তা ডঃ প্রদীপ চক্রবর্তী বলেন, রিপোর্টের বক্তব্য বাস্তবসম্মত নয়। তাছাড়া আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ডস-এ এসব পণ্যকে ‘খাদ্য’ হিসেবেই ধরা হয়। যদিও দেশবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষিত করতেই পরিবর্তনগুলি জরুরি। এমনই জানানো হয়েছে রিপোর্টে।