নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: টাকা তুলতে ইপিএফওর অনুমোদন প্রয়োজন হবে না ঠিকই। কিন্তু ইপিএফ অ্যাকাউন্ট থেকে যত ইচ্ছে তত টাকা কোনওমতেই তুলে নিতে পারবেন না গ্রাহকরা। এক্ষেত্রে থাকবে টাকা তোলার ঊর্ধ্বসীমা। অর্থাৎ, ‘উইথড্রয়াল লিমিট’। ইপিএফ এটিএম কার্ড নিয়ে এমনই প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠন। তবে ইপিএফ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার ঊর্ধ্বসীমা কত হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। পাশাপাশি যেকোনও ব্যাঙ্কের এটিএম কিয়স্কেই ইপিএফের কার্ড ব্যবহার করা যাবে কি না, তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। এই ব্যাপারে শুক্রবার পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত অধরাই রয়েছে শ্রমমন্ত্রকের। সরকারি সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যের নির্দেশে ইতিমধ্যেই কয়েক ধাপে অর্থমন্ত্রক এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কর্তাদের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক করেছেন শ্রমমন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকরা। প্রধানত ইপিএফ এটিএম কার্ডের ব্যাঙ্কিং পরিষেবা নিয়েই অর্থমন্ত্রক এবং আরবিআইয়ের সঙ্গে আলোচনাক্রমে দ্রুত এটিএম কার্ড পরিষেবা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে ইপিএফও। কারণ শ্রমমন্ত্রকের শীর্ষ সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, আগামী জুন মাসের মধ্যেই ইপিএফের এটিএম কার্ড পুরোপুরি চালু করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য।
অন্যদিকে, শুক্রবারই শ্রমমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সেন্ট্রালাইজড পেনশন পেমেন্টস সিস্টেম (সিপিপিএস) দেশের সবক’টি ইপিএফও আঞ্চলিক কার্যালয়ে চালু হয়ে গিয়েছে। এর ফলে একজন ইপিএফ পেনশন প্রাপক দেশের যেকোনও প্রান্তে তাঁর পেনশন প্রদানকারী ব্যাঙ্কের শাখা থেকে সেই টাকা তুলতে পারবেন। অর্থাৎ, ব্যাঙ্ক একই থাকবে। কিন্তু এতদিন যিনি সেই ব্যাঙ্কের কোচবিহার শাখা থেকে পেনশন তুলতেন, তিনি এখন কোনও প্রয়োজনে ওই ব্যাঙ্কের লখনউ শাখা থেকেও তুলতে পারবেন। এর জন্য ওই পেনশন গ্রাহককে আলাদা কোনও আবেদন করতে হবে না। ডিসেম্বরে ইপিএফের প্রায় ৬৮ লক্ষ পেনশনার্সের জন্য প্রায় ১ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা ইতিমধ্যেই এই পদ্ধতিতে দেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রক জানিয়েছে।