কর্ম নিয়ে স্থানান্তর গমনে সাফল্যের যোগ। কর্মে স্থানগত বা সংস্থাগত পরিবর্তন অসম্ভব নয়। পারিবারিক ক্ষেত্রে ... বিশদ
বিভিন্ন ইতিহাসবিদের মতে, দারা শিকোকে সমুগড়ের যুদ্ধে হারানোর পর যমুনা নদীর ধারে ‘মুবারক মঞ্জিল’ তৈরি করেছিলেন আওরঙ্গজেব। অনেকের আবার দাবি, আদতে হাভেলিটি তৈরি করেছিলেন দারা শিকো। তাঁকে হারানোর পর সেটির নতুন নামকরণ করেন আওরঙ্গজেব। লাল বেলেপাথরের তৈরি বাড়িটিতে আওরঙ্গজেব ছাড়াও তাঁর ভাই সুজা ও ক্ষমতাচ্যুত শাহজাহানও কিছুদিন ছিলেন বলে জানা যায়। পরে ইংরেজ আমলে হাভেলিটি সংস্কার করে অফিস হিসেবে ব্যবহার শুরু হয়। ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ের অফিস হিসেবেও ভবনটি ব্যবহৃত হয়েছে। ১৯০২ সাল থেকে ভবনটি তারা নিবাস হিসেবেও পরিচিত।
গত সেপ্টেম্বর মাসে রাজ্য পুরাতত্ত্ব দপ্তর হাভেলিটিকে সংরক্ষিত ঘোষণা করার ক্ষেত্রে কারও কোনও আপত্তি আছে কি না জানতে নোটিস দেয়। কেউ তাতে সাড়া না দেওয়ায় লখনউ থেকে আধিকারিকরা এসে ভবন সংরক্ষণের প্রাথমিক কাজও শুরু করেন। কিন্তু তার কিছুদিনের পরেই হাভেলি ভাঙার কাজ শুরু হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভবনের কাছেই পুলিস ফাঁড়ি রয়েছে। কিন্তু তারপরেও ভাঙাভাঙি আটকাতে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পুরো বিষয়টিতেই মদত দিয়েছে পুলিস ও প্রশাসনের একাংশ। ভবনটির ৭০ শতাংশই ভেঙে ফেলা হয়েছে। আগ্রার জেলা শাসক অরবিন্দ বাঙ্গারির দাবি, ঐতিহাসিক ভবনটি ভেঙে ফেলার বিষয়ে প্রশাসন অবহিত। ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ ও রাজস্ব বিভাগকে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মহকুমা শাসককেও রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। ওই ভবনে আর কোনও কাজ করা যাবে না।