ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাধায় চিন্তা ও উদ্বেগ। বেকারদের ভালো প্রতিষ্ঠানে কর্মপ্রাপ্তির প্রবল যোগ। ... বিশদ
সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে অল অসম স্টুডেন্টস’ ইউনিয়ন (এএএসইউ)। ১৯৮৫ সালে কেন্দ্রের রাজীব গান্ধী সরকারের সঙ্গে স্বাক্ষরিত অসম চুক্তিতে সই করেছিল তারাও। ওই ঐতিহাসিক চুক্তি যে পুরোপুরি ‘যুক্তিসঙ্গত’ ছিল, এদিন সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তা পুনর্প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলেই এএএসইউ-এর দাবি। তারা আরও বলেছে, ‘গত চার দশক ধরে চুক্তির পক্ষে সংগ্রাম করা অসমের অগণিত মানুষের জয় হল। এই জয় অল অসম গণ সংগ্রাম পরিষদ (অসম চুক্তিতে তৃতীয় স্বাক্ষরকারী) সহ সহযোগী সংগঠনেরও। এমন ঐতিহাসিক মুহূর্তে আমরা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। এবং আবারও দাবি জানাই যে, অসম চুক্তির সব ধারা সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়িত করা হোক।’
সাংবিধানিক বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়েছে, বেআইনি অভিবাসন ঘিরে সৃষ্টি হওয়া সমস্যার ‘রাজনৈতিক সমাধান’ করেছিল অসম চুক্তি। আর নাগরিকত্ব আইনে ৬এ ধারার অন্তর্ভুক্তি ছিল সেই সমস্যার আইনি প্রতিবিধান। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় নিজের রায়ে লেখেন, ‘বাকি রাজ্যগুলির তুলনায় অসম অপেক্ষাকৃত ছোট। তা সত্ত্বেও ওই রাজ্যে বিপুল সংখ্যায় বিদেশি শরণার্থীর প্রবেশ হয়েছে, সেকথা মাথায় রাখতে হবে।’ প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সহমত পোষণ করেন আরও তিন বিচারপতি। বিচারপতি এম এম সুন্দ্রেশ, বিচারপতি মনোজ মিশ্র ও নিজের হয়ে পৃথক রায় লেখেন বিচারপতি সূর্য কান্ত। সেখানে বলা হয়, ভারতীয় সংসদ তার আইনি অধিকারের মধ্যে থেকেই ওই ধারা সংযুক্ত করেছিল। ফলে সাংবিধানিক বেঞ্চ এদিন সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে জানাচ্ছে, নাগরিকত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চকে অসমে প্রবেশের ‘কাট অফ’ তারিখ হিসেবে নির্ধারণ করা সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল। শুধু তা-ই নয়, ৬এ ধারার সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে করা আবেদনগুলি এদিন খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
অসমে ‘বিদেশি অনুপ্রবেশকারী’ বিরোধী বিক্ষোভ একসময় চরম আকার ধারণ করেছিল। দীর্ঘ ছ’বছরের হিংসাত্মক আন্দোলনের পর কেন্দ্রীয় সরকার অসম চুক্তিতে রাজি হয়। ১৯৮৫ সালের সেই চুক্তিতে বলা হয়েছিল, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পর যেসব ‘বিদেশি’ অসমে এসেছেন, সবাইকে শনাক্ত করা হবে। প্রত্যেকের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিয়ে তাদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবে প্রশাসন।