ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাধায় চিন্তা ও উদ্বেগ। বেকারদের ভালো প্রতিষ্ঠানে কর্মপ্রাপ্তির প্রবল যোগ। ... বিশদ
পবন কল্যাণ এখনই এই নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করেননি। বরং তাঁর দল এই সম্ভাবনাকে নিছক গুজব আখ্যা দিচ্ছে। যদিও পবন কল্যাণের নিজের দাদা আর এক সুপারস্টার চিরঞ্জিবী ঠিক এই কাজটিই করেছিলেন। প্রথমে নিজের দল গঠন করেন। তারপর সেই দলকে কংগ্রেসের সঙ্গে মিশিয়ে দেন। কিন্তু তাঁর বিশেষ লাভ হয়নি। কারণ সেই সময় উদীয়মান তরুণ তুর্কি হয়ে উঠেছিলেন জগন্মোহন রেড্ডিা। উলটোদিকে চন্দ্রবাবু নাইডু। তাই কোনও নতুন মুখের স্থান হয়নি তেলুগু রাজনীতিতে।
এবার কিন্তু পরিস্থিতির নাটকীয় পরিবর্তন ঘটেছে। লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে মাস্টার স্ট্রোক দিয়েছে বিজেপি। চন্দ্রবাবু নাইডু এবং পবন কল্যাণের জনসেনা পার্টির সঙ্গে জোট করেছে তারা। এবং সুফলও মিলেছে। বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে এই জোট। কিন্তু জাতীয় স্তরে শেষ হাসি হেসেছেন চন্দ্রবাবু। তাঁর সমর্থনেই টিকে আছে মোদি সরকার। যা বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদির কাছে যথেষ্ট অস্বস্তির। এবার বিজেপি সূক্ষ্মভাবে নতুন সমীকরণের পথে হাঁটতে চাইছে।
জনসেনা পার্টি চন্দ্রবাবু নাইডুর দলের কাছে আগামী দিনেও ছোট শরিক হিসেবেই থেকে যাবে। পবন কল্যাণকে তাই বলা হচ্ছে সরাসরি বিজেপি নেতা হতে। আর সেক্ষেত্রে তাঁকে সামনে রেখে বিজেপি অন্ধ্রপ্রদেশে হয়ে উঠতে পারে গুরুত্বপূর্ণ এক দল। চন্দ্রবাবু নাইডুর প্ল্যান রয়েছে আগামী দিনে তাঁর পুত্র নারা লোকেশকে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসানোর। নারার অধীনে থেকে পবন কল্যাণের পক্ষে উপ মুখ্যমন্ত্রী থাকা সম্ভব হবে না বলেই রাজনৈতিক মহল মনে করছে। সুতরাং আগেভাগেই পবন কল্যাণকে টোপ দেওয়া হচ্ছে বিজেপিতে মিশে গিয়ে তিনি জাতীয় স্তরে বেশি মনোনিবেশ করুন। কেন্দ্রে মন্ত্রী হয়ে যান। কিন্তু বিজেপির আসল লক্ষ্য এভাবেই ভবিষ্যতে অন্ধ্রপ্রদেশে নিজের শক্তি বাড়িয়ে ফেলা।