ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাধায় চিন্তা ও উদ্বেগ। বেকারদের ভালো প্রতিষ্ঠানে কর্মপ্রাপ্তির প্রবল যোগ। ... বিশদ
প্রাক্তন জওয়ানের ‘মরণপণ লড়াই’ কিছুটা দূর থেকে চাক্ষুস করেছেন ভিক্কাওয়ালা গ্রামের বাসিন্দা সুজন সিং। তাঁর গলায় গর্বের সুর। বলছিলেন, ‘আমাদের তেগবীর খুব সাহসের সঙ্গে লড়াই করেছে। ক্ষতবিক্ষত হওয়া সত্ত্বেও হার মানেনি। শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছে।’ কীভাবে ওই প্রাক্তন জওয়ান সামান্য একটা লাঠিকে হাতিয়ার করে অসম লড়াইয়ে জয়ী হলেন, চোখে একরাশ বিস্ময় নিয়ে তারই বর্ণনা দিয়েছেন তিনি। আর এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, চিতাবাঘটি তেগবীরকে জঙ্গলের দিকে অনেকটা টেনে নিয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে একটি লাঠি হাতে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ান তিনি। ওই লাঠি দিয়ে পশুটির মুখে, ঘাড়ে লাগাতার আঘাত করতে থাকেন। তাতে বন্যাপ্রাণীটি ক্রমেই নিস্তেজ হয়ে পড়ে। অন্যদিকে, গুরুতর জখম অবস্থায় তেগবীরকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। চিতাবাঘের কামড় ও আঁচড়ে তাঁর দেহে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে।
চিতাবাঘ বনাম মানুষের লড়াইয়ের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন বনকর্মীরা। সেখানে এসে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়েন আধিকারিকরা। বন্য প্রাণীর হানা ঠেকাতে বনদপ্তর সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়ে বলে অভিযোগ করেন গ্রামবাসীরা। তাঁরা স্লোগানও দেন। পরে ৪-৫ বছরের ওই চিতাবাঘের দেহ নিয়ে সেখান থেকে চলে যান আধিকারিকরা।