ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাধায় চিন্তা ও উদ্বেগ। বেকারদের ভালো প্রতিষ্ঠানে কর্মপ্রাপ্তির প্রবল যোগ। ... বিশদ
হর কি পাউড়ির কাছে গঙ্গার বহমানতা না থাকায় সেখানে নদীর নীচের মাটি নজরে পড়ছে। সেখানেই দেখা যাচ্ছে রেললাইন। কেউ কেউ বলছেন, আগে এখানে ছোট ট্রেন চলত। যেখানে রেললাইনের দেখা মিলেছে, সেখান থেকে তিন কিলোমিটার দূরে রয়েছে নিকটবর্তী রেলস্টেশন। কাজেই এখানে গঙ্গার নীচে ট্রেন চলার তত্ত্বে অনেকেই শিলমোহর দিয়েছেন।
যদিও হরিদ্বারের বাসিন্দা আদেশ ত্যাগী নামে এক বৃদ্ধের কথায়, ১৮৫০ সালে গঙ্গা ক্যানাল নির্মাণকাজের সময়েই বিভিন্ন সামগ্রী হাতগাড়িতে করে নিয়ে আসা হতো। ভীমগোড়া ব্যারেজের নির্মাণকাজ তদারকির জন্য সেই সময় ইংরেজ কর্তাব্যক্তিরাও সেই হাতগাড়িতে করেই যাতায়াত করতেন। সেই সূত্রেই এখানে লাইন বসানো হয়েছিল।
আবার ইতিহাসবিদ প্রফেসর সঞ্জয় মাহেশ্বরী বলেন, লর্ড ডালহৌসির মস্তিষ্কপ্রসূত একটি বড় প্রকল্প ছিল গঙ্গা ক্যানাল। ব্রিটিশ আমলে এমন বহু নির্মাণকাজ হয়েছে, যার ভূমিকা বর্তমান ভারতেও গুরুত্বপূর্ণ। সেরকমই একটি প্রকল্প হল গঙ্গা ক্যানাল।
প্রসঙ্গত, প্রতি বছর সংস্কারের জন্য উত্তরপ্রদেশের সেচদপ্তর গঙ্গা ক্যানাল বন্ধ করে দেয়। এর ফলে হর পাউরিতে নদীর জল শুকিয়ে যায়। তবে এর আগে কখনও এমন রেললাইনের দেখা মেলেনি। সেই কারণেই বিষয়টি নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।