ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাধায় চিন্তা ও উদ্বেগ। বেকারদের ভালো প্রতিষ্ঠানে কর্মপ্রাপ্তির প্রবল যোগ। ... বিশদ
আজ সকাল সাড়ে ন’টার মধ্যে রাষ্ট্রপতি ভবনের কালচারাল সেন্টারে হাজির হতে অনুরোধ করেছে নীতি আয়োগ। ৯-৪৫ মিনিটে পৌঁছবেন নীতি আয়োগের চেয়ারম্যান তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর সঙ্গে হবে মুখ্যমন্ত্রীদের ফটো সেশন। তারপর সকাল ১০টা থেকে বৈঠক। এবারের সার্বিক বিষয়: ‘বিকশিত ভারত ২০৪৭।’ তবে তার মধ্যে থেকে পানীয় জল, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, জমি ও সম্পত্তির বিষয় নিয়ে হবে আলোচনা।
বাজেটে বিহার আর অন্ধ্রপ্রদেশ ছাড়া বাকি রাজ্যকে বঞ্চিত করা হয়েছে বলেই অভিযোগ। প্রতিবাদে কংগ্রেস শাসিত হিমাচল প্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীরা আজ নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করছেন। একই পথ অনুসরণ করছেন তামিলনাড়ু ও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জেলে। তবে ইন্ডিয়া জোটের মধ্যে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন বৈঠকে যোগ দেবেন বলেই জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, ‘নীতি আয়োগের বৈঠকের কোনও মানেই নেই। কী বলব না বলব, সেই স্পিচ সাতদিন আগেই জমা নিয়ে নিয়েছে। তারই মধ্যে মিডিয়ায় দেখলাম ইন্ডিয়ার কয়েকজন মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক বয়কট করছেন। এ ব্যাপারে আমার সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেনি। আগে জানতে পারলে ভালো হতো।’ বৈঠকে বাংলার বকেয়া তো বটেই, অন্যান্য বিরোধী রাজ্যের জন্যও বলব। কেন্দ্রকে মনে করিয়ে দেব, আমরা ভিখারি নই। রাজ্যের পাওনা আমাদের অধিকার।’ দিল্লি এলেন, অথচ সোনিয়া গান্ধী বা কংগ্রেসের কারও সঙ্গে সাক্ষাৎ না হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সময় কোথাও? শনিবারই তো বিকেলে কলকাতা ফিরে যাব।’
দিল্লি রওনা হওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি আগে যাব বলে জানিয়েছিলাম। তাই যাচ্ছি। বাজেটে বাংলা সহ বিরোধী রাজ্যগুলিকে বঞ্চনা করা হয়েছে। বিমাতৃসুলভ আচরণ করেছে। রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব করছে কেন্দ্রীয় সরকার। তারপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে বিজেপি নেতাদের যে আচরণ দেখছি, তাতে স্তম্ভিত। আমি আমার রাজ্যের কথা বলব। আমার রাজ্যের প্রসঙ্গ তুলে ধরে ভয়েস রেকর্ড করাব। প্রতিবাদ জানাব। না হলে বেরিয়ে চলে আসব। এদিন দিল্লিতে দলীয় এমপিদের সঙ্গেও বৈঠক করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেখানে মমতার দাওয়াই, সবাই একসঙ্গে থেকে সংসদে বিজেপিকে কোণঠাসা করে রাখতে হবে। নতুন এমপিদের সংসদ কেমন লাগছে, থাকার জায়গা পেয়েছে কিনা ইত্যাদি জানতে চান মমতা। বিকালে তিনি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের স্ত্রী সুনীতার সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়িতে যান। পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন মমতা।কেজরির বাবা-মার সঙ্গে দেখা করে পায়ে হাত দিয়ে প্রণামও করেন।