পড়ে গিয়ে দেহে আঘাত লাগতে পারে। নিকট আত্মীয়ের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি। আয় যোগ শুভ। ... বিশদ
শান্তনু ঠাকুরের এহেন একটি লিখিত সুপারিশ ‘বর্তমান’-এর হাতে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, গত ২ জুলাই নিজের লেটারহেডে জিয়ারুল গাজি নামে এক ব্যক্তিকে এহেন অনুমোদন দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। জিয়ারুল হাকিমপুরের (বুথ নম্বর ৯৬) বাসিন্দা। সীমান্ত এলাকায় ৩ কেজি করে গো-মাংসের কারবার চালানোর জন্য তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়ার সুপারিশ করেছেন শান্তনুবাবু। বিএসএফের ৮৫ নম্বর ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তাকে এই চিঠি দিয়েছেন।
বিজেপি টিকিটে জিতে দ্বিতীয়বার এমপি হয়েছেন মতুয়া ঠাকুর বাড়ির এই সদস্য। আবারও ঠাঁই পেয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায়। তিনি এভাবে সরাসরি গো-মাংসের কারবারকে উৎসাহিত করায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ আরএসএস। শনিবার সঙ্ঘের ‘গো-সেবা গতিবিধি’র পশ্চিমবঙ্গ শাখার কো-অর্ডিনেটর ললিত আগরওয়াল বলেন, ‘এহেন বেআইনি বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর জড়িত থাকাটাই আশ্চর্যের! আরএসএসের শীর্ষ আধিকারিকদের বিষয়টি জানাব।’ তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের অভিযোগ, সীমান্ত এলাকায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সহায়তায় রমরমিয়ে চলছে বেআইনি ব্যবসা। স্থানীয় স্তরে এই ধরনের অবৈধ কারবার চালানোর জন্য প্রথমে নিলাম ডাকা হয়। বিরাট অঙ্কের টাকার বিনিময়ে কয়েকজন মাতব্বর সেই বরাত পান। তারপর চড়া দামে বিক্রি করা হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ওই ‘লিখিত পারমিট’। সেটা দেখিয়ে বিনা বাধায় চলে চোরাচালান।
এই বিতর্ক প্রসঙ্গে শান্তনুবাবুকে একাধিকবার ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠালেও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তাঁর আপ্ত সহায়ক তন্ময় বিশ্বাস ফোন ধরে যাবতীয় বিষয়টি শোনার পর মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলানোর প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু এরপর আর তাঁর নাগাল পাওয়া যায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসএফের এক কর্তা অবশ্য বলেছেন, ‘এরকম সুপারিশে এই ধরনের ব্যবসা চালানোর অনুমতি আমরা দিই না। গোটাটাই অবৈধ। ওই সুপারিশপত্র খতিয়ে দেখা হবে।’