বড় রাস্তার ধারের ঝোপঝাড়। তার মধ্যে থেকে উঁকি মারছে সাদা চুড়িদার পরিহিতা এক মহিলার দেহ। জামাকাপড় রক্তের দাগ স্পষ্ট। দু’টি পা দু’দিকে ছড়ানো। হাত শরীরের নীচে। মাথার বাঁদিক ক্ষতবিক্ষত। উপুড় হয়ে পড়ে রয়েছেন মহিলা।
এসএসকেএম: হাড় ভেঙে হাসপাতালে ভর্তি তাঁর আত্মীয়। তাঁর চিকিৎসা করাতে এসে জেরবার হচ্ছেন সঞ্জয় গঙ্গোপাধ্যায়। এসএসকেএম চত্বরে দাঁড়িয়েই যাবতীয় অব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। বললেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট বলার পরেও ডাক্তারবাবুরা আন্দোলন তুলছেন না কেন?
সকাল থেকেই থিকথিকে ভিড়। টিকিট কাউন্টার থেকে আউটডোরের বিভাগ। কোনও জায়গাতেই তিল ধারণের জায়গা নেই। বসা তো দূরের কথা, ভালো করে দাঁড়ানোরই জায়গা নেই! কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের আউটডোরের এই চেনা ভিড় উধাও।
বারুইপুর এবং কুলতলি হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বিস্তর অবহেলা। প্রচুর ফাঁকফোকর। এ নিয়ে ব্যাপক অসন্তোষ তৈরি হয়েছে রোগী মহলে। আর পাশাপাশি অন্য ছবি সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে হাসপাতাল চত্বর।
রেটিনার অপারেশন করাতে ভোর থেকে দুপুর দু’টো পর্যন্ত খালি পেটে রাখা হয়েছিল চার বছরের এক শিশুকে। কিন্তু দুপুর গড়ালেও তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হল না!
জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতির বলি হতে হল এক দরিদ্র তরুণকে। হিঙ্গলগঞ্জের কাঁটাতলার বাসিন্দা তোফাজ্জেল গাজি নামে ওই যুবক বাইক দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছিলেন ছ’দিন আগে। প্রথমে তাঁকে টাকি, পরে বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
যানজট দূর করতে উলুবেড়িয়া শহরের বাইরে একটি বাইপাস রাস্তার পরিকল্পনা করা হয়। গত ফেব্রুয়ারি মাসে সেই রাস্তার কাজের সূচনা করেন রাজ্যের পূর্ত ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের মন্ত্রী পুলক রায়। তখন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই রাস্তার কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেন মন্ত্রী।
আর জি কর কাণ্ডের জেরে কর্মবিরতি চলছিল হাসপাতালে। রাতে অসুস্থ কিশোরীকে নিয়ে এলে জানিয়ে দেওয়া হয়, সংশ্লিষ্ট বিভাগের চিকিৎসক নেই। এরপর পরিবারের সদস্যরা কিশোরীকে দেগঙ্গার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে।
সাইবার ক্রাইম বিভাগের সহযোগিতায় গত এক মাসে খোয়া যাওয়া ২১টি মোবাইল উদ্ধার করল তারকেশ্বর থানা। বুধবার তারকেশ্বর থানা থেকে হারিয়ে যাওয়া মোবাইলগুলি তাদের মালিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
শহরজুড়ে টোটোর দৌরাত্ম্য রুখতে এবার কালার কোডের মাধ্যমে টোটো চিহ্নিত করার ভাবনাচিন্তা করছে হাওড়া পুরসভা। শহরকে বিভিন্ন জোনে ভাগ করে আলাদা আলাদা কালার কোড দেওয়া হবে টোটোগুলিকে।
একাধিক প্রেমিকা! তাঁদের নিত্যনতুন আব্দার। তা মেটাতে পকেটও নিত্য খালি! কিন্তু প্রেমের জোয়ারে ভাসতে কিছু ঝুঁকি তো নিতেই হবে। তা যদি চুরিও হয়, পরোয়া নেই। প্রেমিকার মন রাখতে চুরির পথই বেছে নিয়েছিলেন যুবক, দাবি পুলিসের। টার্গেট ছিল স্কুল।
শেয়ার ও ব্যবসাদি কর্মে অর্থাগম বেশি হবে। লেখাপড়া ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতিতে গতি। ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ৭৫ বছরের পুরনো পুকুর। কালক্রমে সেই পুকুরকে কেন্দ্র করেই যাবদপুরে গড়ে উঠেছে কাটজুনগর, পোদ্দারনগর কলোনি অঞ্চল। গত কয়েক দশক পুকুরটির কোনও সংস্কার হয়নি। পলি জমতে জমতে ঝিল গভীরতা হারায়। এলাকাবাসীর দাবি মেনে এতদিনে প্রায় চার বিঘাজুড়ে থাকা সেই পুকুরের পাঁক তোলা হয়েছে। প্রায় ৫০ টন পাঁক তোলা হয়েছে বলে খবর। তারপর পুকুরপাড় সাজানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, ৭৫ থেকে ৮০ বছর আগে উদ্বাস্তু কলোনি প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই এই পুকুর রয়েছে। জলাশয়টি কাটজুনগরে অবস্থিত হলেও পোদ্দারনগরের অধিকাংশ মানুষ তা ব্যবহার করেন। তাই সবার মতামতের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছিল কাটজুনগর-পোদ্দারনগর পুকুর সংরক্ষণ কমিটি। বছরের পর বছর সংস্কার না হওয়ার কারণে পুকুরের পাড় ভেঙে গিয়েছিল। নোংরা-আবর্জনা পড়ত নিয়মিত। কোনও কোনও অংশে পাড় দখলও হয়েছে বলে অভিযোগ। যাদবপুর, যোধপুর পার্ক সহ সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ বিভিন্ন কারণে এই জলাশয় ব্যবহার করেন। ফি-বছর বহু প্রতিমাও বিসর্জন হয়। দিনে দিনে পাঁক জমে পুকুরের গভীরতা কমেছে। পোদ্দারনগর প্রভাতী সঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক সনৎ দাস বলেন, ‘সেই ছোটবেলা থেকে এখানেই প্রতিমা বিসর্জন হতে দেখছি। শেষ ক’বছরে পুকুরের গভীরতা একেবারে কমে গিয়েছে। প্রতিমা ভাসানেও সমস্যা হয়। পুকুরটি সংস্কারের দাবি অনেকদিনের। এত বছর পর দাবি পূরণ হল।’ আরেক বাসিন্দা তথা কাটজুনগর কলোনি কমিটির সম্পাদক তমালরঞ্জন সিনহা বলেন, ‘স্থানীয়দের আবেদনে সাড়া দিয়ে কাউন্সিলার পুকুরটির সংস্কার করাচ্ছেন। অবশ্যই সাধুবাদযোগ্য।’
পাঁক তোলার কাজ প্রায় শেষ। পুকুরের পাড় শালবল্লা দিয়ে বাঁধানো হয়েছে। ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার মৌসুমী দাস বলেন, ‘দীর্ঘদিনের দাবি মেনে পুকুরের সংস্কার হচ্ছে। আমরা অনেক পাঁক তুলেছি। পাড় বাঁধানো হয়েছে। আশপাশ থেকে যাতে ময়লা না ফেলা হয়, তার জন্য পুকুরটি ঘিরে দেওয়া হচ্ছে। এবার জল শোধন করে তা মানুষের ব্যবহারযোগ্য করে তোলা হবে। মাছ চাষেরও ব্যবস্থা হবে।’ পুরসভা সূত্রে খবর, এই কাজের জন্য প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এবার আরও খরচ করে পুকুরপাড়ে হাঁটার জন্য রাস্তা তৈরি হবে। বসার আসন ও বাতিস্তম্ভ ইতিমধ্যেই লেগে গিয়েছে। পুরসভার পরিবেশ বিভাগের মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার বলেন, ‘শহরের পুকুর বাঁচানো ও সেগুলি সংরক্ষণ করতে আমরা বদ্ধপরিকর। তবে পুরসভার পক্ষে বছর বছর কোনও জলাশয় সংস্কার করা সম্ভব নয়। তাই স্থানীয়দেরও সচেতন থাকতে হবে। ময়লা ফেলে পরিবেশ নষ্ট করা চলবে না।’
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, ৭৫ থেকে ৮০ বছর আগে উদ্বাস্তু কলোনি প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই এই পুকুর রয়েছে। জলাশয়টি কাটজুনগরে অবস্থিত হলেও পোদ্দারনগরের অধিকাংশ মানুষ তা ব্যবহার করেন। তাই সবার মতামতের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছিল কাটজুনগর-পোদ্দারনগর পুকুর সংরক্ষণ কমিটি। বছরের পর বছর সংস্কার না হওয়ার কারণে পুকুরের পাড় ভেঙে গিয়েছিল। নোংরা-আবর্জনা পড়ত নিয়মিত। কোনও কোনও অংশে পাড় দখলও হয়েছে বলে অভিযোগ। যাদবপুর, যোধপুর পার্ক সহ সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ বিভিন্ন কারণে এই জলাশয় ব্যবহার করেন। ফি-বছর বহু প্রতিমাও বিসর্জন হয়। দিনে দিনে পাঁক জমে পুকুরের গভীরতা কমেছে। পোদ্দারনগর প্রভাতী সঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক সনৎ দাস বলেন, ‘সেই ছোটবেলা থেকে এখানেই প্রতিমা বিসর্জন হতে দেখছি। শেষ ক’বছরে পুকুরের গভীরতা একেবারে কমে গিয়েছে। প্রতিমা ভাসানেও সমস্যা হয়। পুকুরটি সংস্কারের দাবি অনেকদিনের। এত বছর পর দাবি পূরণ হল।’ আরেক বাসিন্দা তথা কাটজুনগর কলোনি কমিটির সম্পাদক তমালরঞ্জন সিনহা বলেন, ‘স্থানীয়দের আবেদনে সাড়া দিয়ে কাউন্সিলার পুকুরটির সংস্কার করাচ্ছেন। অবশ্যই সাধুবাদযোগ্য।’
পাঁক তোলার কাজ প্রায় শেষ। পুকুরের পাড় শালবল্লা দিয়ে বাঁধানো হয়েছে। ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার মৌসুমী দাস বলেন, ‘দীর্ঘদিনের দাবি মেনে পুকুরের সংস্কার হচ্ছে। আমরা অনেক পাঁক তুলেছি। পাড় বাঁধানো হয়েছে। আশপাশ থেকে যাতে ময়লা না ফেলা হয়, তার জন্য পুকুরটি ঘিরে দেওয়া হচ্ছে। এবার জল শোধন করে তা মানুষের ব্যবহারযোগ্য করে তোলা হবে। মাছ চাষেরও ব্যবস্থা হবে।’ পুরসভা সূত্রে খবর, এই কাজের জন্য প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এবার আরও খরচ করে পুকুরপাড়ে হাঁটার জন্য রাস্তা তৈরি হবে। বসার আসন ও বাতিস্তম্ভ ইতিমধ্যেই লেগে গিয়েছে। পুরসভার পরিবেশ বিভাগের মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার বলেন, ‘শহরের পুকুর বাঁচানো ও সেগুলি সংরক্ষণ করতে আমরা বদ্ধপরিকর। তবে পুরসভার পক্ষে বছর বছর কোনও জলাশয় সংস্কার করা সম্ভব নয়। তাই স্থানীয়দেরও সচেতন থাকতে হবে। ময়লা ফেলে পরিবেশ নষ্ট করা চলবে না।’
