শাস্ত্র অধ্যয়নে গতি বৃদ্ধি ও পরীক্ষায় শুভ ফল লাভের সম্ভাবনা। নতুন কর্মপ্রাপ্তি হতে পারে। দাম্পত্যে ... বিশদ
লোকসভা ভোট পর্বে চম্পাহাটি পঞ্চায়েতের ভোটার সংখ্যা ছিল সাড়ে ১৮ হাজারের কিছু বেশি। কিন্তু এই অনুপ্রবেশের জেরেই মাত্র সাত মাসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২,৪০০-এ। ২২টি গ্রাম সংসদের মধ্যে কোনও বুথে ২০০, আবার কোনও বুথে ৩০০ ভোটার বেড়েছে। ভোটার তালিকায় দেখা যাচ্ছে, একই ফোন নম্বর ব্যবহার করে নাম ঢুকেছে চার-পাঁচজনের।
মহারাষ্ট্র এবং দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনপর্বে সামনে এসেছিল, কীভাবে মাত্র কয়েক মাসে লক্ষ লক্ষ ভোটার বেড়েছিল সেখানে। দিল্লির ক্ষেত্রে দেখা যায়, পার্শ্ববর্তী গাজিয়াবাদ, নয়ডা ও গুরুগ্রামের লোকজনের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে সেখানকার ভোটার তালিকায়। এই বিষয়টিকেই বিজেপির গোপন এজেন্ডা বলে দাবি করেছেন মমতা। তাঁর আশঙ্কা, আগামী ২০২৬’এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলায় এই মডেল প্রয়োগ করার চেষ্টা চলবে। অভিযোগ উঠেছে, বিভিন্ন এলাকার ভোটার তালিকায় বহিরাগতদের ‘অনুপ্রবেশ’ অব্যাহত রাখতে ইতিমধ্যেই কয়েকজন জেলাশাসক ও অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসারের উপর ‘চাপ’ বাড়ানো হচ্ছে। এই আবর্তে চম্পাহাটির ‘ভূতুড়ে ভোটার’দের বিষয়টি সামনে আসার পর আরও সতর্ক জোড়াফুল শিবির। দলের সমস্ত জেলা নেতৃত্বকে পঞ্চায়েত বা পুরসভাওয়াড়ি ভোটার তালিকা খুঁটিয়ে স্ক্রুটিনি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চম্পাহাটি পঞ্চায়েতের ভোটার তালিকা স্ক্রুটিনি করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, এই পঞ্চায়েতের ৪১ নম্বর বুথে গত লোকসভা নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল ১০৫৩। এবার তা বেড়ে হয়েছে ১৩৫৭। আবার ২৬ নম্বর বুথে লোকসভা পর্বে ভোটার ছিল ৭৪৬ জন। নতুন ভোটার তালিকায় অতিরিক্ত ১৬৯ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বাড়তি ভোটারদের সিংহভাগই এই পঞ্চায়েতের বাসিন্দা নন। সূত্রের খবর, পঞ্চায়েতের তরফে খোঁজখবর করে শনকা মাঝি নামে নতুন অন্তর্ভুক্ত এক ভোটারের ফোন নম্বর মিলেছিল। তাতে যোগাযোগ করা হলে, মালদহের এক যুবক ফোন ধরে। মালদহে তাঁর একটি সাইবার কাফে রয়েছে। এতেই উস্কে গিয়েছে বিতর্ক।