শাস্ত্র অধ্যয়নে গতি বৃদ্ধি ও পরীক্ষায় শুভ ফল লাভের সম্ভাবনা। নতুন কর্মপ্রাপ্তি হতে পারে। দাম্পত্যে ... বিশদ
বাংলার মানুষের ভোটে পরপর তিনবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৬ সালে তিনি চতুর্থবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন বলেও দাবি করেছে তৃণমূল। এমনকী, প্রত্যয়ী সুরে মমতাও জানিয়ে দিয়েছেন, ‘ছাব্বিশে আমরাই ফিরব।’
মমতার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বিরোধীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে বলে দাবি করেছে তৃণমূল। এমনকী এবছর মমতার সরকারের বাজেটকে সর্বসাধারণের জন্য ‘যুগান্তকারী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক জমি পেতে বিজেপি নেতারা যে মন্তব্য করেছেন, তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিরোধী দলনেতাসহ একাধিক বিজেপি নেতা অভিযোগ করেছেন, মমতার সরকারের সঙ্গে ‘জঙ্গি যোগ’ রয়েছে! এ শুনে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন মমতা। তার প্রতিবাদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও চিঠি লিখছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানতে চেয়েছেন, বিজেপি নেতার বক্তব্যের সপক্ষে কী প্রমাণ আছে? মমতার চ্যালেঞ্জ, বিজেপি নেতা প্রমাণ দিতে পারলে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদই ছেড়ে দেবেন।
এই আবহে বিজেপির উপর আরও চাপ বাড়িয়েছে তৃণমূল। বুধবার তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা দেওয়া হয়েছে বিজেপি নেতাদের। রাজ্য সরকারের সঙ্গে ‘জঙ্গি যোগ’ কোথায় আছে, তার মধ্যেই প্রমাণ দিতে হবে তাঁদের। আর প্রমাণ না-থাকলে অসত্য ভাষণের জন্য তাঁদের হাঁটু গেড়ে ক্ষমা চাইতে হবে।
এই প্রেক্ষিতে বিজেপি নেতারা কী আচরণ করেন, সেটা ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমার মধ্যে দেখে নিয়েই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে তৃণমূল কংগ্রেস। যদি প্রমাণ পেশ অথবা ক্ষমা চাওয়ার রাস্তায় না হাঁটেন বিজেপি নেতারা, তাহলে এনিয়ে আন্দোলনে নামারই প্রস্তুতি নিচ্ছে তৃণমূল। বিজেপির উদ্দেশে কুণাল আরও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন যে, বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুরে কোনওদিনই পদ্ম ফুটবে না। আর ২০২৬ সালে নন্দীগ্রামেও বিজেপির পরাজয় নিশ্চিত। বাংলায় আগামী বিধানসভা ভোটের পর বিজেপি বিরোধী দলের মর্যাদাও ধরে রাখতে পারবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।