শাস্ত্র অধ্যয়নে গতি বৃদ্ধি ও পরীক্ষায় শুভ ফল লাভের সম্ভাবনা। নতুন কর্মপ্রাপ্তি হতে পারে। দাম্পত্যে ... বিশদ
গত ১০ ফেব্রুয়ারি কোচবিহার শহরের একটি ব্যাঙ্কে জাল নোট জমা করতে গিয়ে পুলিসের হাতে ধরা পড়ে আজিজুল হক নামে এক যুবক। ধৃতের কাছ থেকে ১৯ হাজার ৫০০ জালনোট উদ্ধার হয়েছে। সবগুলি ৫০০ টাকার নোট। ধৃতের বাড়ি কোচবিহার-১ ব্লকের পানিশালায়। সে স্থানীয় হার্ডওয়্যারের দোকানের কর্মী। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ঘটনার কয়েকদিন আগে হার্ডওয়্যারের ওই দোকানে হালখাতা হয়। সম্ভবত সেই সময় ওই দোকানে নোটগুলি জমা পড়ে। কে বা কারা নোট দিয়ে ওই দোকানে হালখাতা করেছে, তা স্পষ্ট নয়। এজন্য সংশ্লিষ্ট দোকানের হালখাতার রেজিস্টার খতিয়ে দেখছে পুলিস। কোচবিহারের পুলিস সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, ওই ঘটনা নিয়ে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার সমস্ত দিক গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
চাঞ্চল্যকর ওই ঘটনা পর্যালোচনা করে ও খোঁজখবর নিয়ে গোয়েন্দারা গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য পেয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহে কিছু হাট, বাজার সীমান্ত সংলগ্ন গ্রামে। হাট, বাজারের ব্যবসায়ীরা সহজ সরল। তাঁদের সঙ্গে লেনদেন করা সহজ। সম্ভবত এজন্যই জাল নোট ছড়াতে হাট ও গ্রামীণ বাজারকে টার্গেট করেছে সিন্ডিকেট। ভারতীয় অর্থনীতিকে পঙ্গু করাই ওই সিন্ডিকেটের উদ্দেশ্য।
প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বর মাসে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের দায়িত্ব নিয়েছেন মহম্মদ ইউনুস। সেই সময় থেকেই অশান্ত পদ্মাপারে সক্রিয় ভারত বিরোধী শক্তি। যারমধ্যে পাক মদতপুষ্ট জাল নোট পাচার সিন্ডিকেট অন্যতম। ওই সময় থেকেই বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মালদহের বৈষ্ণবনগর ও কালিয়াচক এবং মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা, জঙ্গিপুর, জলঙ্গি প্রভৃতি এলাকায় ওই সিন্ডিকেট সক্রিয়। ইতিমধ্যে ওই দুই জেলায় বেশ কয়েকবার জাল নোট উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। যারমধ্যে ভারতীয় ৫০০ ও ২০০ টাকার নোট রয়েছে। এবার কোচবিহারে জাল নোট মেলায় উদ্বিগ্ন বিভিন্ন মহল।
গোয়েন্দা সূত্রের খবর, পাকিস্তান থেকে জাল নোটের কনসাইনমেন্ট সমুদ্রপথে ও বিমানে গিয়েছে বাংলাদেশে। সেই কনসাইনমেন্টের একাংশ মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলার সংলগ্ন বাংলাদেশের চাঁপাই নবাবগঞ্জ ও রাজশাহী জেলায় মজুত করা হয়েছে। একই কায়দায় কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলার ওপারে বাংলাদেশের লালমণিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারি প্রভৃতি এলাকাতেও স্ট্যাকইয়ার্ড খোলা হয়েছে বলে সন্দেহ।