শাস্ত্র অধ্যয়নে গতি বৃদ্ধি ও পরীক্ষায় শুভ ফল লাভের সম্ভাবনা। নতুন কর্মপ্রাপ্তি হতে পারে। দাম্পত্যে ... বিশদ
কে এই রাহাত? নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাতুল-মুজাহিদিন-বাংলাদেশের (জেএমবি) সেকেন্ড-ইন-কমান্ড এই ব্যক্তি এপারের খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডের মূল চক্রী। কাপড়ের এই ব্যবসায়ীর আর্থিক সাহায্যেই এপারের পূর্ব বর্ধমানের খাগড়াগড়, শিমুলিয়া এবং মুর্শিদাবাদের মুকিমনগরে মডিউল খুলেছিল জেএমবি। দু’পারের গোয়েন্দা নথিতেই রয়েছে, ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ত্রিশালায় জেল থেকে আদালতে যাওয়ার পথে প্রিজন ভ্যানে হামলার ঘটনা ঘটে। তাতে পুলিস খুন করে জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার মাস্টার মাইন্ডও রাহাত। গোটা অপারেশনটা সারতে ১ কোটি ৩০ লক্ষ বাংলাদেশি টাকা খরচ করেছিল সে।
প্রিজন ভ্যান থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল সালাউদ্দিন সালেহান, জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমা মিজান এবং রাকিবুল হাসানকে। তারা প্রত্যেকেই এপার-ওপারের গোয়েন্দাদের মাথাব্যথার কারণ। পরে র্যাবের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে হাসান মারা গেলেও, সালেহান ও বোমা মিজান যোগ দিয়েছিল এপারে জেএমবির মডিউলে। বোমা মিজানকে দক্ষিণ ভারত থেকে পরে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় এনআইএ। কিন্তু ছদ্মবেশ ধরতে পারদর্শী সালেহান এখনও অধরা। সালেহান-বোমা মিজানের এপারে ঢোকা থেকেই শুরু হয়েছিল এরাজ্যে বাংলাদেশি জঙ্গিদের ‘উত্থানপর্ব’। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়মনসিংহের অপারেশনে রাহাতের নির্দেশেই অংশ নিয়েছিল নারায়ণগঞ্জের মাসুম মিয়াঁ। খাগড়াগড় পর্বে তাকে এনআইএ তথা এপারের গোয়েন্দারা চিনেছিলেন শেখ সাজিদ নামে। এনআইএ ঘোষিত ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কারের জঙ্গি সাজিদ ওরফে মাসুম মিয়াঁকে কলকাতা বিমানবন্দরের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করেছিল বিধাননগর কমিশনারেট।