শাস্ত্র অধ্যয়নে গতি বৃদ্ধি ও পরীক্ষায় শুভ ফল লাভের সম্ভাবনা। নতুন কর্মপ্রাপ্তি হতে পারে। দাম্পত্যে ... বিশদ
পাশাপাশি এই মামলার সূত্রেই আমেরিকার অবৈধ ভারতীয়দের প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত বিষয়টিও উঠে আসে বিচারপতিদের মন্তব্যে। ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ‘অনুপ্রবেশকারী অনেক বাংলাদেশি নাগরিকের কাছে এদেশের ভুয়ো আধার, ভোটার, রেশন কার্ড, পাসপোর্ট রয়েছে। তাঁরা এদেশে বসবাস করছেন। দেখছেন না আমেরিকায় অবৈধভাবে থাকার অভিযোগে আমাদের দেশের কতজনকে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে? তাই নথি থাকলেই তাতে কিছু প্রমাণ হয় না।’
অনুপ্রবেশের অভিযোগে পূর্ব বর্ধমানের দুলাল শীল ও স্বপ্না শীল নামে এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। ১৩ মাস ধরে তাঁরা বন্দি রয়েছেন। তাই হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানান ওই দম্পতি। তখনই বাংলাদেশিদের ভুয়ো পাসপোর্ট নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। আবেদনকারীদের আইনজীবীর দাবি, ২০১০ সালে ওই দম্পতি বাংলাদেশ থেকে পূর্ব বর্ধমানে এসে স্থায়ী বসবাস শুরু করেন। তাঁদের ভারত সরকার প্রদত্ত আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড প্রভৃতি রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় তাঁরা বাড়িও পেয়েছেন। ভুয়ো পাসপোর্টধারী অভিযোগে ওই দম্পতিকে পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। তখনই ডিভিশন বেঞ্চ মন্তব্য করে, ‘জাল পাসপোর্ট তৈরি করে ভারতে আসা অনেক বাংলাদেশির কাছে এরকম আধার ও ভোটার কার্ড রয়েছে। এই দম্পতি ভারতীয় নাগরিকত্বের সরকারি নথি ও প্রমাণপত্র নিয়ে এলে তবেই আদালত তাঁদের জামিন মঞ্জুর করবে।’
তবে আবেদনকারীর আইনজীবী যুক্তি দেন, ফরেন সিটিজেনশিপ রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্টের ধারা ২ অনুযায়ী ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে যাঁরা ভারতে এসেছেন তাঁরা ফরেন সিটিজেনশিপ অ্যাক্টের আওতায় পড়বেন না। তবে বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও মহম্মদ সাব্বার রশিদির ডিভশন বেঞ্চ এই যুক্তি মানতে নারাজ। ওই দম্পতির জামিনের আবেদন খারিজ করেছে আদালত।