শাস্ত্র অধ্যয়নে গতি বৃদ্ধি ও পরীক্ষায় শুভ ফল লাভের সম্ভাবনা। নতুন কর্মপ্রাপ্তি হতে পারে। দাম্পত্যে ... বিশদ
দীর্ঘদিন একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লেনদেন না হলে তাকে ‘ডরম্যান্ট’ বলে ধরা হয়। এখানেই প্রশ্ন, গ্রাম বাংলার সাধারণ মানুষের পক্ষে কি এত টাকা বছরের পর বছর ফেলে রাখা সম্ভব? তাঁরা লেনদেনই বা করেননি কেন? ভারতের ইতিহাসে কালো টাকা বেনামে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে ফেলে রাখার ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। বিশেষ করে, রাজনীতির কারবারিরা এই ফর্মুলাতেই বিপুল অর্থ ম্যানেজ করে থাকেন। তাহলে কি এক শ্রেণির রাজনীতিক এই সব অ্যাকাউন্টে নামে-বেনামে টাকা রেখেছেন? এই প্রশ্ন কিন্তু উঠছে। যদি সেটাই হয়, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তেমন একটি চাকেই ঢিল ছুড়েছেন। ‘দুর্নীতির সঙ্গে আপস নয়’—এই বার্তা তিনি বারবার পুলিস-প্রশাসনের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। তারই ফল হল, এই ৫৮৩ কোটি টাকার হদিশ।
৩ জানুয়ারি সব সমবায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে ‘রেজিস্ট্রার অব কো-অপারেটিভ সোসাইটিস’-এর স্বাক্ষরিত চিঠি পাঠায় সমবায় ডিরেক্টরেট। সেখানে ‘ডরম্যান্ট’, ‘ডেফ’ বা দীর্ঘদিন লেনদেন না হওয়া অ্যাকাউন্টগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়। সেইসঙ্গে গ্রাহকদের কেওয়াইসি সংক্রান্ত তথ্যও। জেলা সূত্রে খবর, এই সব তথ্যই প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে। সূত্রটি জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত প্রাথমিক কৃষি সমবায় সমিতিতে কেওয়াইসি জমা পড়েছে ৭৬.৫ শতাংশের। সর্বাধিক ৯৬ শতাংশ কেওয়াইসি হয়েছে রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্ক এবং জেলা সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কগুলিতে। আরবান কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কগুলিতে পরিসংখ্যানটা ৭২.৪৮ শতাংশ। আর, রাজ্য এবং প্রাইমারি স্তরের সমবায় কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন ব্যাঙ্কগুলিতে কেওয়াইসি জমা হয়েছে ৬১.৮২ শতাংশের। সূত্রের খবর, চলতি অর্থবর্ষের মধ্যেই গ্রাহকদের কেওয়াইসি সংক্রান্ত কাজ যতদূর সম্ভব শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর্থিক বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নিয়ম অনুযায়ী রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্ক, ডিস্ট্রিক্ট সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক এবং আরবান কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কগুলির ‘ডরম্যান্ট’ অ্যাকাউন্টে পড়ে থাকা টাকা আরবিআইয়ের নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়ার কথা। তবে, পরবর্তী পদক্ষেপের আগে এই সমস্ত অ্যাকাউন্টের যাবতীয় তথ্য আর এক দফা যাচাই করে দেখার সিদ্ধান্তও নেওয়া হতে পারে।