শাস্ত্র অধ্যয়নে গতি বৃদ্ধি ও পরীক্ষায় শুভ ফল লাভের সম্ভাবনা। নতুন কর্মপ্রাপ্তি হতে পারে। দাম্পত্যে ... বিশদ
জানা গিয়েছে, দপ্তরের প্রাথমিক পর্যালোচনায় গতবারের তুলনায় প্রায় পাঁচ শতাংশ অতিরিক্ত ফলন হওয়ার হিসেব কষা হয়েছে। তবে প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলে ফলন থমকাবে। সেই সম্ভাবনাকে ভয় পাচ্ছেন আম চাষি সহ উদ্যানপালন দপ্তরের কর্তারা। তা না হলে পরিস্থিতি অনুকূল। তাঁরা জানান, মুকুল আসার পর্বে যেভাবে প্রকৃতির সাহায্য মিলেছে তেমন পরিবেশ থাকলে পাকা আমে ছেয়ে যাবে হুগলির স্থানীয় বাজার। দামও কম হবে। আমজনতার পাতে সহজেই পড়বে রসালো পাকা আম।
হুগলি জেলা পরিষদের কৃষি ও সেচ কর্মাধ্যক্ষ মদনমোহন কোলে বলেন, ‘এমনিতেই এবার অধিক ফলনবর্ষ হিসেবে আম বেশি হওয়ার কথা। বর্তমানে যে সংখ্যক মুকুল এসেছে তাতে অধিকতর ফলন আমরা প্রত্যাশা করছি। ইতিমধ্যেই উদ্যানপালন দপ্তর দফায় দফায় সমস্ত বাগান ঘুরে দেখেছে। আম চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছে।’ হুগলি জেলার উদ্যানপালন আধিকারিক শুভদীপ নাথ বলেন, ‘এবার মুকুল আসার পর্বে আবহাওয়া খুব ভালো ছিল। উষ্ণ আবহাওয়া ফলনবর্ষের শুরুর দিকে আমের জন্য ভালো। কুয়াশার দাপট অপেক্ষা উষ্ণতার প্রভাব বেশি ছিল। তাতেই ঝেঁপে মুকুল এসেছে। পরিস্থিতি যা, তাতে গতবারের তুলনায় কমপক্ষে পাঁচ শতাংশ বেশি ফলন হওয়ার পূর্বাভাস আছে। শুধু আমের গুটি আসার পর প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলে ফলন হ্রাস পাবে।’ উদ্যানপালন দপ্তরের এক কর্তা বলেন, ‘২০২৪ সালে প্রায় ৩৮ হাজার মেট্রিক টন ফলন হয়েছিল। সেটি ছিল ‘জিরেন’ বছর। এবার ৪৫ থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন ফলন আসা করা হচ্ছে।’ মালদহ, মুর্শিদাবাদের মতো আমের ফলন হুগলিতে হয় না। কিন্তু অন্যান্য জেলার তুলনায় এখানে আম চাষের পৃথক ঐতিহ্য আছে। হুগলির আছে একটি নিজস্ব আম, ‘সরিখাস’। পাশাপাশি পুরনো বাগানও রয়েছে অনেক। সেগুলিতে ‘হিমসাগর’ থেকে ‘আম্রপালি’, ‘ল্যাংড়া’র মতো আম ব্যাপকভাবে হয়। হুগলি জেলাতে ছ’হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়। বিচ্ছিন্ন কিছু আমের ফলন ধরলে সংখ্যাটি সাত হাজার হেক্টর ছুঁয়ে যাবে। ফেব্রুয়ারির শেষ পর্বে সেই সব বাগানের গাছ ঢাকা পড়েছে মুকুলে। ব্যাপক ফলনের ইঙ্গিত পেয়ে ইতিমধ্যেই কৃষকদের মধ্যে সাড়া পড়েছে। তাঁরা নিয়মিত মুকুলের পরিচর্যা শুরু করেছেন। ফলে প্রকৃতির রোষে না পড়লে হুগলিতে এবার ব্যাপক ফলন প্রায় নিশ্চিত। ২০১৯ ও ২০২৩ সালে এ জেলায় সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সর্বাধিক অর্থাৎ ৫২ হাজার মেট্রিক টন ফলন হয়েছিল। এবার তার কাছাকাছি হবে বলে আশা।