কর্ম নিয়ে স্থানান্তর গমনে সাফল্যের যোগ। কর্মে স্থানগত বা সংস্থাগত পরিবর্তন অসম্ভব নয়। পারিবারিক ক্ষেত্রে ... বিশদ
নুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অসম এসটিএফের অফিসাররা জেনেছেন, জেল থেকে বের হবার পর সে তারিকুলের খোঁজ নেয়। জানতে পারে সে বহরমপুর জেলে সাজা খাটছে। ২০২৫ মাঝামাঝি সাজা শেষ হবে। নুর পরিকল্পনা করে তারিকুলকে এবিটির সংগঠন সাজাতে কাজে লাগানো হবে। তার দায়িত্ব থাকবে খারিজি মাদ্রাসা তৈরি ও অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়ার। জেলে অন্য অপরাধীদের মগজ ধোলাই করে সংগঠনে টেনে আনার জন্য তারিকুলের উপর ভরসা করছিল নুর।
তদন্তকারীরা জেনেছেন, মহম্মদ শাদ রবি ওরফে সাহেবের মাধ্যমে নুর জানতে পারে, মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা আব্বাস বধু নির্যাতনের মামলায় বহরমপুর জেলে থাকাকালীন তার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল তারিকুলের। আব্বাসের মগজ ধোলাই করে জেহাদি ভাবধারায় টেনে আনে তারিকুল ওরফে সুমন। আব্বাস তদন্তকারীদের জানিয়েছে, নুর তিন মাস আগে মুর্শিদাবাদে এসে তাকে দায়িত্ব দিয়ে যায় তারিকুলের সঙ্গে জেলে বৈঠক করে সংগঠনের পরবর্তী রূপরেখা জানিয়ে দিতে। মাস দুই আগে পরিবারের সদস্যরা তারিকুলের সঙ্গে দেখা করার অ্যাপয়নমেন্ট পেলে তাদের সঙ্গে আব্বাসও যায় জেলে। আব্বাস জেরায় তদন্তকারীদের জানিয়েছে, তারিকুলের সঙ্গে বিভিন্ন জেলে বন্দি জেএমবি ক্যাডারদের যোগাযোগ রয়েছে। নুর নির্দেশ দিয়েছিল, তারিকুল বাইরে এলে বিভিন্ন জেলে গিয়ে জেএমবি জঙ্গিদের সঙ্গে দেখা করতে। তাদের ব্যবহার করে জেলে থাকা অন্য অপরাধীদের মগজ ধোলাই করতে। যাতে জেলের মধ্যে সমান্তরাল সংগঠন তৈরি করা যায়। পাশাপাশি জেলবন্দিদের বের করে আনার জন্য অর্থ সাহায্য করার কথা ছিল তারিকুলের।