ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাধায় চিন্তা ও উদ্বেগ। বেকারদের ভালো প্রতিষ্ঠানে কর্মপ্রাপ্তির প্রবল যোগ। ... বিশদ
আর জি কর ইস্যু নিয়ে বিগত দু’মাস মাস ধরে তোলপাড় চলছে রাজ্যে। বিচারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছে আম জনতা। আর এই সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছে নেট-নাগরিকদের একাংশ। অনেকেই চোখা চোখা মন্তব্য, ছড়ায় বিঁধছে প্রশাসন ও সরকারকে। এবং সেইসঙ্গে ‘নাগরিক সামাজে’র আড়ালে আন্দোলনকে সুসংগঠিত করার পিছনে রাজনীতির কারবারিদের যে ইন্ধন বাড়ছে, সেটাও স্পষ্ট হচ্ছে দিনের আলোর মতোই। সেই বিপ্লবের অন্যতম শরিক কৃষ্ণনগর কাণ্ডে ধৃত রাহুলও।
রাহুলের সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে, আগস্ট মাসে আর জি কর ইস্যুতে সরকার-বিরোধী বহু পোস্ট রয়েছে তার। রাত দখলের মিছিলের ভিডিও জ্বলজ্বল করছে তার প্রোফাইলে। তার এই সব পোস্ট দেখে অবশ্য এলাকার মানুষ এতটুকুও বিস্মিত হয়নি। কারণ রাহুল সক্রিয়ভাবে পার্টি না করলেও তার জ্যাঠা মনোতোষ বসু সিপিএমের দাপুটে কর্মী ছিলেন। তবে, বর্তমানে তিনি শয্যাশায়ী। রাজনীতি থেকে দূরে রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাহুলের বাড়িতে গিয়ে জানা গেল, সে বেঙ্গালুরুতে একটি হোটেলে কাজ করে। মাঝেমধ্যে নেশাও করত। কৃষ্ণনগরের তৃণমূল কাউন্সিলার প্রদীপ দত্ত বলেন, ‘রাহুলের জ্যাঠা একসময় সিপিএমের নেতা ছিলেন। ওর পোস্ট দেখলেই মুখ আর মুখোশের ফারাকটা স্পষ্ট হয়ে যাবে। আর জি করের ঘটনা নিয়ে ন্যায় বিচারের দাবিতে অনেক জ্বালাময়ী পোস্ট করেছে। একদিকে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিপ্লব চালিয়ে গিয়েছে, অন্যদিকে শেষ করে দিয়েছে আমাদের শহরের একটি মেয়ের জীবন।’
কৃষ্ণনগরের সিপিএম নেতা এস এম সাদি বলেন, ‘যারা নোংরা রাজনীতি করে, তারা এসব কথাই বলে। একটা মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। কিন্তু নোংরা রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কাছে সোশ্যাল মিডিয়ায় কে কী পোস্ট করেছে, সেটাই বড় হয়ে দাঁড়াল। ওরা শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চাইছে।’ তিনি বলেন, ‘রাজ্য সরকারের পুলিস মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে পারে না। আমরা এই জঘন্য অপরাধের বিচার চাই। আর সারা দেশে কত লোকের কত আত্মীয়-স্বজন থাকে, তার সঙ্গে অপরাধ কিংবা অপরাধীর কোনও সম্পর্ক নেই।’