ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাধায় চিন্তা ও উদ্বেগ। বেকারদের ভালো প্রতিষ্ঠানে কর্মপ্রাপ্তির প্রবল যোগ। ... বিশদ
জেলা পুলিস সূত্রে খবর. দেহ যেখানে মিলেছিল, সেখানে একটি কেরোসিন তেলের বোতল ও দেশলাই বাক্স উদ্ধার হয়। কিন্তু কে সেখানে তা রাখল, জানতে ফরেন্সিক পরীক্ষার সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। ফিঙ্গার প্রিন্ট বিশেষজ্ঞরা অকুস্থলের নমুনা সংগ্রহ করছেন। ঘটনার তদন্তে নেমে তদন্তকারীদের দুটি বিষয় ভাবাচ্ছে। একটি হল, ওই অষ্টাদশী কি নিজেই আগুন ধরিয়েছিলেন, অর্থাৎ ঘটনাটি আত্মহত্যা নাকি কেউ তাঁকে জীবন্ত অবস্থায় পুড়িয়ে মেরেছে? আত্মহত্যা হলে তাঁকে কে বা কারা প্ররোচনা দিল? সেই কারণে ‘সিন অব ক্রাইম’ নিয়ে বারবার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারীরা। তার সঙ্গে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করছেন। তবে ‘আত্মঘাতী’ হওয়ার সম্ভাবনাটাকে সমান গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন তাঁরা।
তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত রাহুল রাত ১০টা ১০ নাগাদ ফোন করে দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে। ১০টা ১৫ পর্যন্ত দুজনের কথা হয়। অষ্টাদশী সকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন। তাঁদের এক কমনফ্রেন্ড রাহুলকে অনুরোধ করেন ওই অষ্টাদশীকে ফোন করতে। রাত সওয়া ১০টা নাগাদ রাহুলের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ছিল কৃষ্ণনগর কলেজ মাঠ। দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর মোবাইলের টাওয়ার লোকেশনও মেলে ওই এলাকাতেই। অর্থাৎ দুজন যে দেখা করেছিল, তা স্পষ্ট হচ্ছে। সেখানে তাদের মধ্যে বাদানুবাদ হয়. বলে তদন্তে জেনেছে পুলিস। ১০টা ২৪ মিনিটে অষ্টাদশী হোয়াটসঅ্যাপে স্টেটাস দেন, তাঁর মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। রাত ১১টা বেজে আট মিনিটে শেষবার হোয়াটসঅ্যাপ দেখেছেন তিনি। তদন্তকারীদের অনুমান, রাত ১১টা বেজে আট মিনিটের পর মৃত্যুৱ ঘটনা ঘটেছে। যেখানে তাঁর দেহ মিলেছে, সেখান থেকে কলেজ মাঠ যেতে সময় লাগে মিনিট দশেক। ওই অষ্টাদশীর হোয়াটস অ্যাপ স্টেটাস আপডেট থেকে পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, ক্লোন করে অভিযুক্ত মেসেজ লিখে থাকতে পারে। অথবা মোবাইল কেড়ে নিয়ে সে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে অষ্টাদশী নিজে তা লিখেছেন, তাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিস।