ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাধায় চিন্তা ও উদ্বেগ। বেকারদের ভালো প্রতিষ্ঠানে কর্মপ্রাপ্তির প্রবল যোগ। ... বিশদ
তারপরও শক্তি বৃদ্ধি করে নিম্নচাপটি কোন দিকে যাবে তার উপরই নির্ভর করছে এর প্রভাব কোথায় বেশি পড়বে। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা হবিবুর রহমান বিশ্বাস জানান, তামিলনাড়ু থেকে মায়ানমার পর্যন্ত বিস্তৃত বঙ্গোপসাগর উপকূলের যেকোনও জায়গা দিয়েই স্থলভূমিতে এটি ঢুকবে। গতিপ্রকৃতির উপর নজর রাখছে আবহাওয়া দপ্তর।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বর্ষা-পরবর্তীকালে নভেম্বরের গোড়ার দিক পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে কোনও শক্তিশালী নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে সেটির উত্তর অন্ধ্র, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশ থেকে মায়ানমার উপকূলের দিকে ধেয়ে যাওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। নভেম্বরের শেষদিক থেকে ডিসেম্বরের শুরুতে কোনও নিম্নচাপ-ঘূর্ণিঝড় বঙ্গোপসাগরে তৈরি হলে সেটির তামিলনাড়ু ও দক্ষিণ অন্ধ্র উপকূলের দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এর ব্যতিক্রমও হয়। সাম্প্রতিক অতীতেও অক্টোবর-নভেম্বরে ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশ ও মায়ানমার উপকূলে জোরালো ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। ১৯৯৯ সালে অক্টোবরের শেষে ওড়িশায় আছড়ে পড়েছিল বিধ্বংসী সুপার সাইক্লোন।
বুধবার থেকে কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার নানা জায়গায় বজ্রগর্ভ মেঘ সঞ্চার হয়ে বেশি পরিমাণে যে বৃষ্টি হচ্ছে তার কারণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া একটি বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত। এটি থেকে শক্তিশালী বজ্রমেঘ তৈরি হচ্ছে। শনিবার থেকে এই প্রবণতা অবশ্য কমতে পারে।