ছোট ও মাঝারি ব্যবসার প্রসার ও বিক্রয় বৃদ্ধি। অর্থাগম ক্রমশ বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা। ... বিশদ
এদেশে প্রথম অ্যানালগ কম্পিউটার তৈরি করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অরুণকুমার চৌধুরী। তাঁর নামাঙ্কিত এ কে চৌধুরী স্কুল অব ইনফরমেশন টেকনোলজির প্রাক্তনীরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালিতে ছড়িয়েছিটিয়ে রয়েছেন। অধ্যাপক চৌধুরীর সরাসরি ছাত্র অমর চৌধুরীকে আমেরিকা সহ সারা বিশ্বেই ভিএলএসআই ডিজাইনের প্রবাদপুরুষ বলা হয়। সবচেয়ে বড় কথা, গ্লোবাল ফাউন্ড্রিজের কলকাতার অফিসের বড়কর্তাও এই স্কুলেরই ছাত্র। এমন তথ্যই দিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তথা স্কুলের অধিকর্তা অম্লান চক্রবর্তী। তিনি জানান, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিও ফিজিক্স বিভাগে ভিএলএসআই নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়। বিভিন্ন বিভাগে যাঁরা ভিএলএসআই নিয়ে কাজ করেন, তাঁদের একটি দলও রয়েছে। বিভিন্ন সেমিনার এবং কনভেনশনে বহুজাতিক সংস্থাটির কর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে এ রাজ্যের শিক্ষক এবং অধ্যাপকদের। অম্নানবাবুদের উদ্যোগে কলকাতায় ভিএলএসআই ডিজাইনিং নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলনও আয়োজিত হয়েছিল। সেখানেও তুলে ধরা হয় এ রাজ্যের গবেষকদের প্রতিভা।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসি সেন্টার অব এক্সেলেন্স চলে আরেক বহুজাতিক ‘সিনপসিস’-এর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে। ছাত্রছাত্রীরা সিনপসিসের পরিকাঠামো ব্যবহার করে এখানে গবেষণা করতে পারেন। গ্লোবাল ফাউন্ড্রিজের সঙ্গেও তাদের মউ রয়েছে। বর্তমান উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত নিজেও এই সেন্টারের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে সায়ন চট্টোপাধ্যায়, শেলি সিনহা চৌধুরীর মতো প্রথিতযশা অধ্যাপকরদের। সায়নবাবু তুরস্কে থাকায় তাঁর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। অধ্যাপক সিনহা চৌধুরী বলেন, ‘শুধু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নয়, ডিপ্লোমা এবং গ্র্যাজুয়েশন স্তরে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরাও এখানে ভিএলএসআই ডিজাইনিং নিয়ে কোর্স করতে পারেন। তবে, এম টেক স্তরের জন্য যে কোর্স রয়েছে, তা শুধুমাত্র যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্যই সীমাবদ্ধ।’ প্রসঙ্গত, গ্লোবাল যাদবপুর ইউনিভার্সিটি অ্যালুমনি ফাউন্ডেশন এই ক্ষেত্রে শুধু অর্থ সাহায্যই করে না, বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগও করিয়ে দেয়। এভাবেই এসেছে সিনপসিস, গ্লোবাল ফাউন্ড্রিজ সহ অন্যান্য সংস্থা।
ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, দু’টি বিশ্ববিদ্যালয় তো রয়েছেই, এর পাশাপাশি আইআইটি খড়্গপুর, আইআইইএসটি শিবপুর, দুর্গাপুর এনআইটি, আইএসআই কলকাতা, রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ম্যাকাউট এবং বেশ কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও উচ্চ থেকে মাঝারি মানের ভিএলএসআই গবেষণা হয়। ফলে যে মানবসম্পদ আগে বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, চেন্নাই বা মার্কিন মুলুকে পাড়ি দিত, কারখানা হলে সেটাই থেকে যাবে বাংলায়।