ছোট ও মাঝারি ব্যবসার প্রসার ও বিক্রয় বৃদ্ধি। অর্থাগম ক্রমশ বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা। ... বিশদ
ডিভিসি অত্যধিক জল ছাড়ায় বন্যার কবলে পড়েছে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে জেলায় জেলায় ছুটে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বন্যা পরিস্থিতির মধ্যেই দেব বলেন, ‘ঘাটালের মানুষকে বন্যা থেকে রক্ষা করতেই আমি রাজনীতিতে আছি।’ ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের কাজ দ্রুত শুরু না হলে তিনি ২০২৬ সালের নির্বাচনে প্রচার করবেন না বলেও জানিয়ে দেন। প্রসঙ্গত, কেন্দ্র টাকা না দেওয়ায় গত লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের কোষাগার থেকেই ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের কাজ করা হবে বলে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, এই প্রকল্পের জন্য কোথায় কত জমি লাগবে, কত কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের প্রয়োজন ইত্যাদি বিষয়ে প্রাথমিক সমীক্ষার কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। বেশ কিছু সমীক্ষার কাজ বাকি রয়েছে। এসব কাজ শেষ করতে প্রায় দু’বছর সময় লাগার কথা। এক বছরের মধ্যে সেই কাজ শেষ করে সম্পূর্ণ প্রকল্পের কাজ চার বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ করা যায় কি না, সে বিষয়েই এদিন আলোচনা হয়। এক বছরের মধ্যে সরেজমিনে কাজ শুরু করে দেওয়া নিয়েও এদিন বিস্তর আলোচনা হয় বলে খবর। এদিন দেবের তরফেও বেশ কিছু প্রস্তাব আসে। সেই সমস্ত প্রস্তাব সহ এদিনের আলোচনার বিষয়বস্তু উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রীকে একটি রিপোর্ট দেবেন বলে জানা গিয়েছে। তার পরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিনের বৈঠকে শিল্পদপ্তর ও এর অধীনস্ত ওয়েস্ট বেঙ্গল মিনারেল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। যেসব নদী এবং খালে পলি উত্তোলন করলে বালি পাওয়া যায় না, সেসব ক্ষেত্রে পলি তোলার কাজ মিনারেল ডেভেলপমেন্টের বদলে সেচদপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া নিয়ে এদিন আলোচনা হয় বলে সূত্রের খবর। শিলাবতী সহ দু’টি নদীতে বালি না ওঠার কারণে বেশ কয়েকবার পলি তোলার কাজের দরপত্র বাতিল করতে হয়েছে। তাই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। মালদহের ভুতনিতে সেচদপ্তরের কাজ নিয়েও আলোচনা হয়। কাল, সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক। উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরে বিকেল ৪টের সময় বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে স্নেহাশিস চক্রবর্তী, পুলক রায়, মানস ভুঁইয়া, বেচারাম মান্না সহ পাঁচ মন্ত্রীকে মমতা নির্দেশ দিয়েছেন, বৈঠকে যোগ না দিয়ে তাঁরা যেন বন্যা কবলিত এলাকায় যান।